২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:৪৩

গাইবান্দা স্বাস্থ্য সহকারীর লাশ উদ্ধার

গাইবান্দা প্রতিনিধি:

নৌকাবাইচের মহড়া দেওয়ার সময় গাইবান্ধার কামারজানী ইউনিয়নের গোঘাট গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকাডুবে নিখোঁজ হন এম এ লতিফ ও ফুল মিয়া নামে দুইজন। তাদের উদ্ধারে নদীতে ব্যাপক তল্লাশি চালানো হয়। সন্ধান পেতে দুই উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে মাইকিংও করা হয়। দুই দিন খোঁজাখুঁজির পর সোমবার ভোরে নদীতে সন্ধান মেলে দুজনের মরদেহ। এদের মধ্যে লতিফের মরদেহ বড়শিতে আটকানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

সকালে জেলার সাঘাটা উপজেলার ভরতখালি ইউনিয়নের উল্লা ভরতখালি থেকে লতিফের এবং ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের চরকাবিলপুর-কালাসোনারচর এলাকা থেকে ফুল মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। লতিফ সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের বারবলদিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ফজলার রহমানের ছেলে এবং ফুল মিয়া একই গ্রামের মহিম উদ্দিনের ছেলে। লতিফ মালিবাড়ী ইউনিয়নের স্বাস্থ্য সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ফুলছড়ি থানা পুলিশ ও নিহতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সকালে নৌকাবাইচের মহড়া দেওয়ার সময় গোঘাট এলাকায় একটি নৌকাডুবে লতিফ ও ফুল মিয়া নিখোঁজ হন। পরে নদীতে অনেক তল্লাশি চালিয়েও তাদের পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের সন্ধান পেতে ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে মাইকিংও করা হয়। অবশেষে সোমবার ভোরে নদী থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত লতিফের বড় ভাই মো. মধু মিয়া মুঠোফোনে জানান, ‘ভোরে সাঘাটা উপজেলার উল্লা ভরতখালি এলাকায় লতিফকে বড়শিতে আটকে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে পরিচিত একজন আমাদের খবর দেয়। পরে মরদেহ উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসি। দুপুরের দিকে তাকে দাফন করা হবে।’

লতিফের মরদেহ উদ্ধারের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলসাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, সকালে ফুল মিয়াকে চরে আটকে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী তার পরিবারের সদস্যদের জানায়। পরে তারা গিয়ে মরদেহ নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে ফুল মিয়াকে পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি 

প্রকাশ :অক্টোবর ১৬, ২০১৭ ১২:৪৯ অপরাহ্ণ