নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রী আবাসিক এলাকার বাসা বাড়ি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ২টার পর এ এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়। এরপর সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্তও এসব এলাকায় গ্যাসের দেখা মেলেনি। পূর্ব ঘোষণা ছাড়া হঠাৎ গ্যাস বন্ধ হয়ে যাওয়াতে এখন ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকায় বসবাসকারীরা। আর সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন গৃহিনীরা। চুলা না জ্বলায় সকাল থেকে রান্না হয়নি অনেকের বাসাতেই। স্থানীয় হোটেলগুলোতে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (পেট্রোবাংলার একটি কোম্পানি) ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যায়, গ্যাস ডাউন হবে এমন কোনো পূ্র্ব ঘোষণা কিংবা নোটিশও নেই। যদিও এর আগে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করলে ‘জরুরি গ্যাস শাট ডাউন বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে তা জানানো হতো। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশও করতো তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। তবে এবার দেখা গেল তার ব্যতিক্রম চিত্র।
সরেজমিনে বনশ্রীর ডি, ই, এফ, সি, এ ও কে ব্লক এলাকা ঘুরে জানা যায়, গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।ডি ব্লকের ৪ নং সড়কের ১৫ নং বাসার কেয়ারটেকার রহমত আলী জানান, রাত থেকে গ্যাস নেই। সকালেও গ্যাস না আসায় ফ্ল্যাটের অধিকাংশরাই বাইরে খেয়েছেন। এফ ব্লকের গৃহবধু আঞ্জুমানের সঙ্গে কথা হয় ‘আড্ডা কাবাব ও বিরিয়ানি হাউজে’। তিনি বলেন, রাত থেকে গ্যাস নেই। কলা রুটি খেয়ে শিশু সন্তানকে স্কুলে নিয়ে গেছি। বাসায় ফিরে দেখি গ্যাস আসেনি। তাই পরোটা, বিরিয়ানি কিনতে এলাম। লুৎফর রহমান নামে ‘এ’ ব্লকের বাসিন্দা জানান, গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। কলা-রুটি ও দোকানের পরোটা খেয়ে পরিবারের সকলের সকাল পার হয়েছে। দুপুরেও যদি গ্যাস না আসে তবে বিপাকেই পড়তে হবে।
যোগাযোগ করা হলে তিতাস গ্যাস কল সেন্টারের কল এক্সিকিউটিভ প্রবীর দাস বলেন, রাত থেকে হঠাৎ করে রামপুরা-বনশ্রী এলাকায় গ্যাসের প্রবাহ বন্ধ রয়েছে। ইঞ্জিনিয়াররা কাজ করছেন। মতিঝিল জোনের ম্যানেজার এরশাদ মোল্লা জানান, গ্যাস দিতে না পারায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। দুপুর নাগাদ গ্যাসের সরবরাহ আসার জোর সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি