বিনোদন ডেস্ক:
ঢাকা অ্যাটাক’ ছবিতে উচ্চপদস্থ গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনায় এসেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ। ছবির টান টান উত্তেজনায় তার চরিত্রটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। গেল ৬ অক্টোবর ছবিটি মুক্তির পর ছোটপর্দার এই দাপুটে অভিনেতা এখন বড়পর্দায় নিজের অবস্থান আরও মজবুত করেছেন। নিজের মুঠোফোন, ফেসবুক, খুদেবার্তায় প্রতিদিন শত শত প্রশংসা পাচ্ছেন তিনি।
এ সফলতার রহস্য কী? জানতে চাইলে শতাব্দী ওয়াদুদ বললেন, ‘ঢাকা অ্যাটাকের সফলতার রহস্য হচ্ছে ছবির গল্প। এ ছবির মূল নায়ক হচ্ছে গল্প। এ সাফল্য শুধু আমাদের নয়, সারাদেশের সিনেমাপ্রেমিদের। তারা হলে গিয়ে ছবি না দেখলে সফলতা পাওয়া যেত না।’
তিনি বলেন, “যখন ছবির গল্প শুনেছিলাম তখনই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। দর্শকদের আমার মনে হয়েছিল এক্সটাইটেড কিছু একটা হবে। দর্শকদের মধ্যে টেনশন ক্রিয়েট করেছে গল্পটি। একটা মজার জিনিস হচ্ছে ভিলেনের এন্ট্রি হয়েছে বিরতির পর। এমনটা কিন্তু আমাদের ছবিতে দেখাই যায় না। ছবির শুরুতে মনে করেছিলাম নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন যদি পরিকল্পনার ৬০ শতাংশ কাজ করতে পারে তাহলে ছবি হিট যাবে। এবং পুরো পরিকল্পনার বেশিরভাগই সাকসেসফুল হয়েছে। সেজন্য বলা যায় ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সাফল্য পেয়েছে।”
এর আগে পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করলেও গোয়েন্দা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেননি শতাব্দী ওয়াদুদ। সেজন্য এমন চ্যালেঞ্জিং চরিত্রের জন্য তাকে বেশ স্টাডিও করতে হয়েছিল। বললেন, ‘আমি এত বড় পুলিশের চরিত্রে আগে অভিনয় করিনি। তাই কাজ করার চান্সটা মিস করিনি। ছবির চিত্রনাট্যকার সানি সানোয়ার (পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ‘সিটিটিসি’ ইউনিটের এডিসি) ভাইয়ের কাছ থেকে আইডিয়া নিয়েছি। স্ক্রিপ্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছি। তাছাড়া পুলিশের বিভিন্ন অপারেশনের আগে কি কি করে থাকে সবকিছুর আইডিয়া নিয়েছি।’
ঢাকা অ্যাটাক ছবিতে শতাব্দী ওয়াদুদ ছাড়াও অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, মাহিয়া মাহি, আফজাল হোসেন, আলমগীর, এবিএম সুমন, নওশাবা, শিপন, তাসকিন ছাড়াও আরও অনেক তারকা।
এসব তারকার ভিড়ে নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে বাড়তি চাপ ছিল না বলে জানান শতাব্দী ওয়াদুদ। তার ভাষ্য, ‘আমি কোনো চাপ নেইনি। আমাকে নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন চরিত্রটি বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি ক্যারেক্টারে ঢুকে পড়ি। কে কি করছে সেটা দেখিনি। নিজের চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছি। নিজেকে গুরুত্ব দিয়েছি।’
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেতা বলেন, ‘দিন শেষ দর্শক ভালো গল্পের ছবি দেখতে চান। অনেক দর্শক বলেন, বই দেখে আসি। কেন বলে? বইতে ভালো গল্প থাকে সেজন্য। দর্শকদের মনোরঞ্জন পুষ্ট করার জন্য ভালো গল্পের ছবির বিকল্প নেই। ঢাকা অ্যাটাক তেমনই একটি ভালো গল্পের ছবি। আমরা যারা কাজ করেছি সবাই নির্মাতার নির্দেশনায় চলেছি। কৃতিত্বের বড় দাবিদার হচ্ছে গল্পকার সানি সানোয়ার ও পরিচালক দীপঙ্কর দীপন।’
আগামীতে শতাব্দী ওয়াদুদ অভিনীত চারটি ছবি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। ছবিগুলো হচ্ছে আদি, রাগী, দাগ ও আসমানি। মুক্তির অপেক্ষায় থাকা চারটি ছবি নিয়েও বেশ আশাবাদী শতাব্দী ওয়াদুদ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ