২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:১৭

নারায়ণগঞ্জে বাল্কহেড ডুবিতে এক শ্রমিক নিখোঁজ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ২নং ঢাকেশ্বরী সোনাচড়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিসির ডকইয়াডের সামনে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবে থাকা ফেরীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি বাল্কহেড ডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে সোহাগ (৩২) নামের এক গ্রীজার নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার দুপুরে ওই ঘটনার পরে দিনব্যাপী বন্দর ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল তল্লাশি চালালেও নিখোঁজ শ্রমিকের সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ সোহাগ নওগাঁ জেলার শিকারপুর দোহারিকা এলাকার বাসিন্দা। এদিকে শ্রমিক নিখোঁজের জন্য বিআইডব্লিউটিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতি ও উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন শ্রমিকরা। বিআইডব্লিউটিসির ডুবন্ত জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গত কয়েক বছরে অন্তত ৭টি নৌযান ডুবির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগে জানা গেছে।

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার জানান, বুধবার দুপুরে বন্দর উপজেলার ২নং ঢাকেশ্বরী সোনাচড়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিসির ডকইয়াডের সামনে ডুবে থাকা যশোর ফেরী নামের একটি ফেরীর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এমভি মুছাপুর নামের একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ডুবে সোহাগ (৩২) নামের এক গ্রীজার নিখোঁজ রয়েছে। ডুবে যাওয়া এমভি মুছাপুর নামের বাল্কহেডটির মালিক কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার নলচর এলাকার অলিউল্লাহ।

বালুবাহী বাল্কহেডটি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া বালু বোঝাই করে রূপগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। ডুবন্ত ফেরীর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যাওয়ার পরে বাল্কহেডটিতে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও গ্রীজার সোহাগ নিখোঁজ রয়েছে।সবুজ শিকদার আরো জানান, গত সোমবার নারায়ণগঞ্জে নৌ নিরাপত্তা নিয়ে জেলা সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত সভায় শীতলক্ষ্যা ডুবে থাকা বিআইডব্লিউটিসির জাহাজ, ফেরী ও ড্রেজার পরিদপ্তরের ড্রেজারগুলো উদ্ধারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটলো। ওই ডুবে থাকা জাহাজ, ফেরী ও ড্রেজারের কারণে নদীর চ্যানেল যেমন সংকীর্ণ হচ্ছে তেমনি নাব্যতাও নষ্ট হচ্ছে।

এছাড়া বিআইডব্লিউটিসির যে স্থানে বুধবার দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে সেখানে এর আগেও অন্তত ৭টি নৌ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এর জন্য বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতি ও উদাসীনতাই দায়ী। তারা মেরামত যোগ্য জাহাজগুলো থেকে যন্ত্রাংশ চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করে দিয়ে সেগুলোকে শীতলক্ষ্যায় ডুবিয়ে দিয়েছে। আর যে স্থানে জাহাজ কিংবা ফেরী ডুবে রয়েছে সেখানে কোন ধরনের বয়া কিংবা বাতিও দেয়া হয়নি।

বন্দর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর হাসিব আকন্দ দিপু জানান, ৫ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও একজন নিখোঁজ রয়েছে। বুধবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত নিখোঁজ শ্রমিকের সন্ধানে শীতলক্ষ্যায় তল্লাশি চালালেও তার সন্ধান মেলেনি।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি 

প্রকাশ :অক্টোবর ১২, ২০১৭ ১১:০০ পূর্বাহ্ণ