আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম নিজের জন্মস্থানে পা রাখলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদি। আজ রবিবার সকাল সাড়ে নয়টায় বিমানবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারে সেখানে পৌঁছান তিনি। একটিবার তাকে সামনে থেকে দেখার আশায় সকাল থেকেই ফুল হাতে রাস্তার দুইধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। তিনি এলেন সেই আবেগকে স্পর্শ করেই। এরপর দরজা খোলা গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তেই তুমুল হর্ষধ্বনি। মোদি-মোদি রবে মুখর হয়ে উঠল ভডনগরের আকাশ।
কিশোর বয়সে গুজরাটের যে ভডনগর রেলস্টেশনে চা বিক্রি করতেন মোদি, সেই স্টেশনেও সাজ সাজ রব। স্টেশনে নরেন্দ্র-র বাবার সেই চায়ের স্টলটিকেও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে। শুধু চায়ের স্টলই নয়, সেজে উঠেছে গোটা স্টেশন চত্বর। মোদি ভডনগরের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবারই আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি আজ যেখানে রয়েছি তা এই মাটির গুণেই।’ তিনি ভডনগরে ৪০০ কোটি রুপি ব্যয়ে একটি মাল্টি-স্পেশালিটি হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। নিজের স্কুলেও যান প্রধানমন্ত্রী। কালো এসইউভি-র দরজা খুলে নিরাপত্তা রক্ষীদের আগেই চলে যান স্কুলের সামনে।
গতকাল, শনিবার, দুই দিনের সফরে গুজরাত গিয়েছিলেন মোদি। তিনি রাজকোট এবং সুরেন্দ্রনগরের মাঝে একটি গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি