নিজস্ব প্রতিবেদক:
বহুল আলোচিত রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ ছাত্রী ধর্ষণ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ আবারও পিছিয়েছে। কারণ আজ রোববার বাদীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল। পরে রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করলে ১৬ অক্টোবর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। আদালত সূত্র বলছে, এই নিয়ে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুনানি ৪ বার পেছাল। আজ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ ধার্য করেন। সরকারি কৌঁসুলি আলী আকবর বলেন, মামলার বাদী আজ আদালতে হাজির ছিলেন না। আজ তিনি এলে তার সাক্ষ্যগ্রহণ নেওয়া হতো। তিনি জানান, আজ আসামিরা আদালতে জামিন চান। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
প্রসঙ্গত জন্মদিনের পার্টির কথা বলে গত ২৮ মার্চ রাতে বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ৪০ দিন পর এই ব্যাপারে বনানী থানায় মামলা করতে গেলে মামলা না নিয়ে বাদীকে পুলিশ হয়রানি করে। পরে গত ৬ মে শাফাত, নাঈমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়। ৫ আসামিকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা এখন কারাগারে আছেন।
এর আগে রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় গত ১৩ জুলাই আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে শাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়। আর শাফাতের আরেক বন্ধু সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীর বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারা অনুযায়ী, কোনো পুরুষের বিরুদ্ধে নারী বা শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার যাবজ্জীবন হতে পারে। একই সঙ্গে আদালত জরিমানাও করতে পারবেন। আর অপরাধে প্ররোচনা বা সহায়তার বিষয়ে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি যদি অন্য কাউকে অপরাধ সংগঠনে সহায়তা করেন, তাহলে অপরাধ সংঘটনের জন্য যে শাস্তি নির্ধারিত, প্ররোচনাকারীও এই একই সাজা হবে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ