দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক বিপর্যয়ে পড়া বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক প্রশংসা করেছে জাতিসংঘ। গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়কারীর কার্যালয় ওসিএইচএ’র উপ মহাসচিব মার্ক লৌকক এবং ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্থনি লেক যৌথভাবে দেয়া এক বিবৃতিতে এ প্রশংসা করেন।
এতে বাংলাদেশের উদারতা ও মানবিকতার বিরল দৃষ্টান্তে উচ্ছ্বসিত ওই কর্মকর্তারা জানান, মানবিক সহায়তার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে জাতিসংঘ। এর আগে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরগুলো পরিদর্শন করেছেন ওসিএইচএ এবং ইউনিসেফ এর প্রধান দুই কর্মকর্তা। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, মিয়ানমারে ভয়াবহ সহিংসতায় পড়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দুঃখ-দুর্দশার বাস্তব চিত্র দেখে আমরা ফিরে যাচ্ছি। তবে আমরা এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ সরকারকে পূর্ণ সহায়তা প্রদানে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপের বিষয়ে সংকল্পবদ্ধ।
তারা আরো জানান, ক্যাম্পগুলোতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে রোহিঙ্গারা। সেখানে তাদের প্রয়োজনমতো খাবার, পানি ও ওষুধের ব্যবস্থা নেই। এতে আশ্রিত মানুষগুলোর জীবন আরো হুমকিতে পড়ছে। নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। অতি দ্রুত এসব সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নেয়াটা জরুরি। ধাপে ধাপে তাদের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। আর এতে দরকার আর্থিক ও মানবিক সাহায্য। এজন্য জাতিসংঘের কাছে প্রাথমিকভাবে ৪৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের ব্যবস্থা চেয়েছেন তারা। এছাড়া অন্যান্য দাতাগোষ্ঠীর কাছ থেকে আরো ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তার প্রত্যাশা রয়েছে বলেও জানান তারা।
উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর চেকপোস্টে বিদ্রোহীদের হামলার পর ক্লিয়ারেন্স অপারেশন জোরদার করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তখন থেকেই মিলতে থাকে বেসামরিক নিধনযজ্ঞের আলামত। সহিংসতা থেকে বাঁচতে তখন থেকে পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশের তরফ থেকে তাদের আশ্রয় নিশ্চিত করা হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ