ক্রীড়া প্রতিবেদক:
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৩৩৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হারল বাংলাদেশ। পচেফস্ট্রুমে দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ৪২৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯০ রানেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা।
সাদা পোশাকে এর আগে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন সংগ্রহটা ছিল ৬২ রান, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই হারে পঞ্চম সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডে নাম লেখালেন মুশফিক-তামিমরা। আর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে এটাই বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ইনিংস। ২০০৭ সালের পর আবারও এত অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার নজির গড়ল অতিথিরা।
বাংলাদেশের আশার ভেলা ডুবাতে মূল কাজটা করেছেন প্রোটিয়াদের দুই বোলার তরুণ তুর্কী কাগিসো রাবাদা এবং মহারাজ। রাবাদা ৩টি, মহারাজ নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট। ২টি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মরনে মরকেল।
এর আগে রবিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বাংলাদেশের দুই উইকেট খেয়ে পেলেন মরনে মরকেল। নো বলের কারণে বেঁচে যান মুশফিক। রানের খাতা খোলার আগেই তামিম-মুমিনুলকে বিদায় করেন মরকেল। অবশ্য মুমিনুলের আউট নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। আম্পায়ার আউট দিলেও টিভি রিপ্লেতে পরিষ্কারভাবে দেখা যায় সেটা নট আউট। আর ৩২ রান করে ফিরে যান ইমরুল।
৩ উইকেটে ৪৯ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করে বাংলাদেশ। নেমেই রাবাদা ছোবল। টপাটপ তিন ব্যাটসম্যান- মুশফিকুর রহিম (১৬), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৯) এবং লিটন দাসকে (৪) বিদায় করেন। একপাশ থেকে মেহেদী হাসান মিরাজ খানিকক্ষণ লড়াই চালান। তাতে অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি। ৯০ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। মিরাজের ব্যাট থেকে এসেছে ১৫* রান।
১ম ইনিংসে ৩ উইকেটে ৪৯৬ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে ৩২০ রানেই অলআউট বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট খুইয়ে ২৪৭ রান করে স্বাগতিকরা। যার সুবাদে জয়ের জন্য বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২৪ রান।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ