নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
২০ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে ‘বাংলাদেশ বৌদ্ধ নাগরিক ঐক্য’ সংগঠনের নেতাদের এ মতবিনিময় হয়।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ব্যর্থ হয়েছে, চীন-রাশিয়াকে কনভিন্স করতে পারেনি। আমাদের দুর্ভাগ্য, আমাদের বন্ধুদেশ তারা আজ কূটনৈতিকভাবে আমাদের নেই, মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমিত্বকে বিসর্জন দিয়ে দেশ রক্ষার জন্য জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করুন।
তিনি বলেন, কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে রোহিঙ্গাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা অন্য কোনও দেশ নিয়ে নাক গলাতে চাই না। আমরা এটাও চাই না, আমাদের অভ্যন্তরে অন্য কেউ নাক গলাবে। আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত এসেছে। অথচ সরকার নিন্দাও জানায়নি। এটাকে আগ্রাসন মনে করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক সরকার চাই। নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। এ জন্য কাজও করছি। স্বৈরাচারি সরকারের গত ৮ বছরের নির্যাতনের কারণে আমরা বহু ত্যাগ শিকার করেছি। আমরা আমাদের অবস্থান থেকে এখনো সরে যাইনি। বাংলাদেশে তো গণতান্ত্রিক সরকার নেই। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে এমন সমস্যা হতো না। একটা গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় থাকলে রোহিঙ্গাদের নিয়ে সমস্যাটি কোনও সমস্যাই থাকতো না।
জাতিসংঘের মহাসচিবের বরাত দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। এরপর পরিস্থিতি কোন দিকে কখন মোড় নিবে আমরা সহজে বলতে পারি না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন সাম্প্রতিক সম্প্রীতি নষ্ট হয়। আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। প্রতিটি নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়ার সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহামুদ চৌধুরী।
এছাড়াও ২০দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- মোস্তফা জামাল হায়দার, মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম বীর প্রতিক, জেবেল রহমান গানি, জাহানারা পারভীন, মাওলান আবদুর রব, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, আহমদ আবদুল কাদের প্রমুখ।
দৈনিক দেশজনতা /এনএইচ