জলপাই তার নানাবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য সুপরিচিত এবং এটি রান্নায় ও সৌন্দর্য কাজে ব্যবহার করা হয় ব্যাপক ভাবে। কিন্তু জলপাই পাতা উপেক্ষিতই থেকে গেছে। প্রাচীন মিশরে ঔষধ হিসেবে প্রথম ব্যবহার করা হয় জলপাই পাতা এবং জলপাই পাতা ছিল স্বর্গীয় শক্তির প্রতীক। ১৮০০ শতকের গোড়ার দিকে জলপাই পাতার রস জ্বর কমাতে ব্যবহার করা হত। জলপাই পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লামেটরি, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। এই ৪টি কারণে জলপাই পাতার রস আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর, তরুণ ও সুন্দর করে।
সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে:
যদি আপনাকে দীর্ঘক্ষণ সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে থাকতে হয় তাহলে সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রভাবে আপনার ত্বক স্থিতিস্থাপকতা হারায় এবং ত্বকের পুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে জলপাই পাতার নির্যাসে ওলিউরোপেইন নামক উপাদান থাকে। এটি ত্বকের পুরো হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে এবং মেলানিনের উৎপাদনকে ধীরগতির করে।
অ্যান্টি এজিং উপাদান আছে:
যেহেতু জলপাই পাতার রস ত্বক পুরো হয়ে যাওয়া ও ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট হওয়া রোধ করতে পারে সেহেতু ত্বকের অকালবার্ধক্য প্রতিরোধে ও বলিরেখা দূর করতেও অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে জলপাই পাতার রস। কারণ এতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।
চুলের জন্য উপকারি:
জলপাই এর রসের মতোই জলপাই পাতার রস ও চুলকে মসৃণ এবং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এই রস চুলের গোড়ার ফলিকলের মধ্যে প্রবেশ করে চুলকে আর্দ্র রাখতে ও দীপ্তিময় করতে সাহায্য করে।
জলপাই পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্লামেটরি, অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। এই ৪টি কারণে জলপাই পাতার রস আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যকর, তরুণ ও সুন্দর করে।
সতর্কতা :
সাধারণত জলপাই পাতার রস নিরাপদ এবং কোন মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়না। তবে যারা প্রেগনেন্ট ও ব্রেস্ট ফিডিং করান তারা জলপাই পাতার রস গ্রহণ করার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। এছাড়া ডায়াবেটিক ও ব্লাড প্রেশারের রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া জলপাই পাতার রস গ্রহণ না করাই ভালো।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি