নিজস্ব প্রতিবেদক:
মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার হয়ে বাংলাদেশের পাহাড়, বন, জঙ্গল ও ধানক্ষেতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের করুণ পরিণতি দেখে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘আমি সত্যিই খুব মর্মাহত।’
রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সরকার ভয়ানক সহিংসতা চালিয়েছে উল্লেখ করে ফিলিপো গ্র্যান্ডি আরো বলেন, বাংলাদেশে যারা আশ্রয় নিয়েছে, তাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে খাবার, চিকিৎসাসহ মৌলিক সাহায্য দরকার।
শনিবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপো গ্র্যান্ডি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি উখিয়ার বালুখালী ও থাইংখালী রোহিঙ্গা শিবিরও ঘুরে দেখেন।
ফিলিপো গ্র্যান্ডি বলেন, ‘রোহিঙ্গা নারীদের ধর্ষণ, বাবা-মা খুন, পরিবারহারা, নির্যাতনে আহত অবস্থায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর ভয়াবহ সহিংসতা চালিয়েছে। এই সহিংসতার ক্ষত কাটিয়ে উঠতে রোহিঙ্গাদের অনেক সময় লাগবে। তাদের এখন জরুরি ভিত্তিতে দরকার খাবার, বাসস্থান, চিকিৎসার মতো মৌলিক জিনিসগুলো সরবরাহ করা।’
গত শুক্রবার জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ছয় মাসের সাহায্য দিতে হলে প্রায় ২০ কোটি ডলার সাহায্য লাগবে।
গ্র্যান্ডি তিন দিনের সফরে গত শুক্রবার বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি আজ রোববারও কক্সবাজারে অবস্থান করবেন। আগামীকাল সোমবার ঢাকায় উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ