নিজস্ব প্রতিনিধি:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন অর্জনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭২তম অধিবেশনে বক্তব্য উপস্থাপন করবেন তার আভাস আগে থেকেই পাওয়া গিয়েছিল। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোর পৌনে ছ’টার দিকে শুরু হওয়া নিজের ১৪তম ভাষণে সেই রোহিঙ্গা ইস্যুকেই তিনি গুরুত্ব দিলেন সবচেয়ে বেশী।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, “রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য আমি জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাচ্ছি। ”
এ প্রসঙ্গে পেশ করা তার সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে-প্রথমত, অনতিবিলম্বে এবং চিরতরে মিয়ানমারে সহিংসতা ও ‘জাতিগত নিধন’ নিঃশর্তে বন্ধ করা; দ্বিতীয়ত, অনতিবিলম্বে মিয়ানমারে জাতিসংঘ মহাসচিবের নিজস্ব একটি অনুসন্ধানী দল (Fact Finding Mission) প্রেরণ করা; তৃতীয়ত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা এবং এ লক্ষ্যে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সুরক্ষা বলয় (safe zones) গড়ে তোলা; চতুর্থত, রাখাইন রাজ্য হতে জোরপূর্বক বিতাড়িত সকল রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে তাদের নিজ ঘরবাড়িতে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা; পঞ্চমত, কফি আনান কমিশনের সুপারিশমালার নিঃশর্ত, পূর্ণ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।
ভাষণে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও বিশ্বব্যাপী শান্তি রক্ষা কার্যক্রম, সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমে সহায়তা, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনীতি বিষয়েও সময়োপযোগী ও দূরদর্শী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের চালানো গণহত্যার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতির চিত্রও ফুটিয়ে তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ