শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে :
“সবার জন্য শিক্ষা চলো স্কুলে যাই ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে প্রাথমিক শিক্ষা সবার জন্য বাধ্যতামূলক হলেও শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা নদীতীরবর্তী সিংহভাগ শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। দরিদ্রতা, অসচেুনতার ফলে এসব শিশুদের সময়কাটে খেলাধুলা,নদীতে মাছ ধরে। সরে জমিনে ঘুরে শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরী,গালা,সোনাতুনী,জালালপুর ইউনিয়নের যমুনা নদী তীরবর্তী জগতলা,ভাটপাড়া,চরগুধিবাড়ী,ভেকা,পাঁচিল,গালা,বেনুটিয়াবাঁধ,ফকিরপাড়া গ্রামের অধিকাংশ শিশুরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। যে বয়সে এসব শিশুদের হাতে খাতা, কলম, বই শোভা পাওয়ার কথা ছিল সেই সময় শিশুদের সিংহভাগ এখনও স্কুলে যায়না।এসব বিষয় নিয়ে শিশুদেও অভিভাবকদেও সাথে কথা বলে জানাযায়, দরিদ্রতা ও অসেচতনতা। যমুনা নদীর ভাঙ্গনে ভিটেমাটি হারানো পরিবারগুলো মাথা গোঁজার ঠাঁই নিয়ে তীরের বাঁধে বসবাস করছে। দিনমজুর এসব ব্যক্তিদের বেশিরভাগ জীবনজীবিকা চালায় দুঃখ কষ্টের ভিতর দিয়ে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুরে হওয়ায় শিশুরা স্কুলে যায়না। আবার কোন কোন স্কুল নিকটে হলেও সচেুনতার অভাবে শিশুরা নদীতে মাছ ধরে সময় কাটায়। আবার কেউ আশেপাশের বাজারে চায়ের স্টলে সিডি,ভিসিডি দেখে কাটিয়ে দেয় দিন। ৫ বছর ও তাঁর চেয়ে বেশি বয়সী এ এলাকার সিংহভাগ শিশুরা এখনও বিদ্যালয়বিমুখ। কোন অভিভাবক যুক্তি দেখালেন, লেখাপড়া করতে টাকা লাগে। টাকা পাবো কোথায় ? আবার কেউ বললেন, লেখাপড়া শেষ করলে টাকা ছাড়া চাকুরী মেলেনা। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করতে তো কোন টাকা লাগেনা বরং নিয়মিত স্কুলে গেলে সরকার উপবৃত্তি প্রদান করে। এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেও যমুনা তীরের অসচেতন অভিভাবকদের নিকট থেকে আশানুরুপ উত্তর মেলেনি। এখন যমুনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি হয়ে অনেকটা টইটুম্বুর আর নতুন পানি দেখে যেন স্বাধ মেটেনা তাঁদের। তাই দলবেঁধে শিশুরা পোষাক ছেড়ে পানিতে ঝাপুরি খেলে পাড় করছে সময়। এতে যেন সামান্য শাসন কিম্বা বাঁধা নেই। নদীর সাথে বসবাস যাদেও তাঁদেও সন্তানরা শিশুবেলা থেকেই সাাঁতার কাটবে এাঁই স্বাভাবিক। কিন্তু নদীতীরের এসব শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন বিভিন্ন শিক্ষা ্রপতিষ্ঠান। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি কিম্বা এন,জিও সংগঠনের পক্ষ থেকে যথার্থ পদক্ষেপ নেয়া এখন সময়ের দাবী। তা নাহলে নদী তীরের বিশাল জনগোষ্ঠি নিরক্ষর থেকে যাবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে যথার্থ পদক্ষেপ নিতে হবে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর