নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর পদ্মার চরে অনিরাপদ ভ্রমণ করা থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত গত ১১ মে তারিখে বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগগুলোতে পাঠানো এক জরুরী বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেয় প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি ছাত্র ছাত্রীরা পদ্মার চরে বেড়াতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের দ্বারা ছিনতাই, মারধর, জিম্মি হওয়াসহ নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হচ্ছে। এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে পদ্মার চরে অনিরাপদ ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আদিষ্ট হয়ে নির্দেশ দেওয়া হলো।’
এর আগে গত ১০ মে ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় বখাটের খপ্পরে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। বখাটেরা তাদেরকে আটকে রেখে মুক্তিপণও দাবি করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
এদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার না করে উল্টো পদ্মার পড়ে যাওয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যেবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. রকীব আহমেদ বলেন, ‘এই ধরনের নির্দেশনার কোনো অর্থ হয় না। কারণ এই বিশাল ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদ্মার চরে যাওয়া নিষেধ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বরং নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদারের দিকে নজর দেওয়া সমীচিন হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তমশ্রী দাস বলেন, ‘প্রশাসনের এই ধরনের নির্দেশনা অযৌক্তিক। মাধাব্যাথা হলে, মাথা কেটে ফেলতে হবে এটা কোনো সমাধান নয়। বরং যারা পদ্মার পাড়ে দুর্বৃত্তায়নের সাথে জড়িত, তাদেরকে শাস্তির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে।
এম/এম