আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্ববাসীর পর্যবেক্ষণকে ভয় পান না তিনি।’ মঙ্গলবার রোহিঙ্গা ইস্যুতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ৩০ মিনিটের টেলিভিশন ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
গত মাসে রাখাইনে সহিংসতা শুরুর পর এই প্রথম জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন সু চি। সু চি তার ভাষণে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তবে তিনি বলেছেন, অধিকাংশ মুসলিমই রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে যায়নি এবং সহিংসতা বন্ধ হয়েছে।
রাখাইনের রোহিঙ্গা সহিংতার কারণে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার শিকার হয়েছেন সু চি।
রাখাইনে গত মাসের ২৫ আগস্ট কয়েকটি পুলিশ চেকপোস্ট ও একটি সেনা ছাউনিতে হামলা চালায় একদল বিচ্ছিন্নতাবাদী। ওই হামলার জেরে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক নির্যাতনের কারণে ইতোমধ্যে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এই ঘটনাকে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে রোহিঙ্গা মুসলিম ইস্যুতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে মিয়ানমারকে সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। তবে সাম্প্রতিক সময়ের রাখাইন সহিংসতার বিরোধীতা করেছে বেইজিং। সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং য়ি জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেসকে এ কথা জানান।
মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ৪০০ জন।
রাখাইনের চলমান সংকট নিরসনে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচিকে অনুরোধ করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া।
সোমবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় বেইজিং পাশে আছে। তবে তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রতিও সহানুভূতি দেখান। আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধানেরও কথা বলেন ওয়াং য়ি।
চীন নিজ উদ্যোগে রাখাইনের সহিংসতা বন্ধে কাজ করবে বলেও জানান য়ি। তবে এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সমম্প্রদায় গঠনমূলক ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ