দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
কানাডার উইনিপেগে বাংলাদেশিদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন কানাডা-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএ) প্রতি বছরই একধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এ’ বছরের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি ছিল সব সময়ের চেয়ে নজর কাড়া ও উপস্থাপনা-বৈচিত্র্যে ভরপুর। অনুষ্ঠানটি ম্যানিটোবার বিখ্যাত ওয়েস্ট এন্ড কালচারাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক ফায়সাল শিবলি এবং নাফিসা চৌধুরীর মনোজ্ঞ উপস্থাপনায় ৪০ জনেরও বেশি শিল্পী তাঁদের শিল্পশৈলি প্রদর্শন করেন।
উইনিপেগ ১৭০০ বাংলাদেশি অভিবাসী ও প্রবাসীর আবাস। এখানকার বেশির ভাগ অধিবাসীই উচ্চশিক্ষিত ও সংস্কৃতিমনা। ম্যানিটোবা প্রদেশের তিনটি মুলধারার বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল হতে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। ২০১২ হতে ২০১৭ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চারশ’ বাংলাদেশি ছা্ত্রছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রত্ব নেন। তরুণ বাংলাদেশিদের আগমনে ম্যানিটোবার উইনিপেগ বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে মূখরিত হয়ে উঠছে।
বিশেষ গ্রন্থনায় গ্রন্থিত ‘প্রত্যাশা’ নামাংকিত অনুষ্ঠানটিতে পরিবেশিত হয় একাধিক একক, দ্বৈত ও দলীয় নৃত্য, সংগীত, প্রহসন-নাটিকা, কৌতুক-নকশা, ফ্যাশন শো, দর্শক উপস্থিতি-পর্ব, এবং বাংলা চলচ্চিত্রাভিনেতা রাজ্জাক ও সালমান শাহ স্মরণে বিশেষ পর্ব। অনুষ্ঠানের সেরা আকর্ষণ ছিল ছায়ানৃত্য যা দর্শকদের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়। অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা, নির্দেশনা, পরিচালনা ও সমন্বয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্কৃতি কমিটি সদস্যরা ছিলেন মোঃ ওয়ালিউল্লাহ [ওয়ালি] (সাংস্কৃতিক সম্পাদক), মোঃ মানিক হোসেন ও মোস্তারিনা বেগম (সহঃ সাংস্কৃতিক সম্পাদকদ্বয়), এবং উপ-কমিটি সদস্যবৃন্দ সামিলাত কায়সার (সহ ক্রীড়া সম্পাদক), মিশু ইসলাম, এবং মিথিলা বিনতে ফারুক। কুড়িজনেরও অধিক তরুণ স্বেচ্ছাসেবি আয়োজনটিতে নিরলস শ্রম দেন।
সিবিএর সভাপতি মিসেস নাসরিন মাসুদ এর সূচনা বক্তব্যের পর বিশেষ অতিথি এমপি টেরি ডূগুইড ম্যানিটোবায় বাংলাদেশি সংস্কৃতির উত্তরোত্তর সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রস্তাবিত বাংলাদেশ ভবন প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ও সম্ভাব্য রূপরেখা নিয়ে বক্তব্য রাখেন ইঞ্জিনিয়ার ও সিবিএ’র ভূতপূর্ব সভাপতি খাজা আবদুল লতিফ। হেলাল মহিউদ্দীন তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উইনিপেগের বাংলা স্কুল সেবা নেবার জন্য বাংলাদেশি ম্যানিটবাবাসীদের ও তাঁদের সন্তানদের সনির্বন্ধ আহবান জানান। সিবিএ’র নব-নির্বাচিত নির্বাহীদের পরিচিতিসূচক পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রথম পর্বের সমাপ্তি হয়, এবং অনুষ্ঠানটির মূল বিনোদন-পরিবেশনা-পর্ব শুরু হয়। ‘প্রত্যাশা’র অর্থ ব্যবস্থাপনায় ছিলেন রানা এস এম এ, এবং জনসংযোগে রেজা কাদির; স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থাপনায় সাকিব রহমান, মঞ্চ পরিকল্পনায় শারমিন ফারজানা খান, এবং আলোকচিত্রগ্রহণে লাবিব রানা ও তারিকুল হক।
সিবিএ’র এই সংস্কৃতি-সন্ধ্যাটি উইনিপেগে বাংলাদেশি প্রবাসীগণ পরিবার-পরিজনসহ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সহযোগে উপভোগ করেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ