নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহ শৈলকুপায় এক ভূয়া চিকিৎসকের ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের গাড়াগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালিয়ে ভূয়া চিকিৎসক কুষ্টিয়ার উজান গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে বাবুল হোসেনকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উসমান গনি।এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের সহযোগি ছিলেন ডাঃ কাউছার হামিদ ও শৈলকুপা থানার এস,আই জামিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উসমান গনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন, শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাজারে ভাই ভাই ফার্মেসীতে এক ভূয়া চিকিৎসক অন্য এক চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা করে আসছিলো। মাইকিং করে প্রতি বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত রোগী দেখে আসছিলো। যে চিকিৎসকের নাম, পদবী, পিতার নাম, মাতার নাম, সার্টিফিকেট, জাতীয় পরিচয়পত্র সব কিছুই ভূয়া। যার প্রকৃত নাম বাবুল হোসেন, পিতার নাম- ইসমাইল হোসেন, গ্রাম- উজান গ্রাম, কুষ্টিয়া সদর। কিন্তু সে ডাক্টার মোঃ রইচ উদ্দিন মিয়া বাবুর নাম ব্যবহার করে গাড়াগঞ্জ ভাই ভাই ফার্মেসীতে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ব্যাপক মাইকিং করে রোগী দেখে আসছিল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উক্ত চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।মানুষের জীবন নিয়ে এতবড় প্রতারনা কেন করেছেন জানতে চাওয়া হলে ভূয়া চিকিৎসক বাবুল হোসেন বলেন, পেটের দায়ে এ কাজ করেছেন। প্রকৃত পক্ষে তার ব্যাগে রক্ষিত এ বছরে প্যারামেডিকেলে ভর্তির একটি এ্যাডমিড কার্ড পাওয়া যায়। অপরাধের মাত্রা বিবেচনা করে ভূয়া চিকিৎসককে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয় বলে ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়।