পেশাদার ফুটবলারদের সবচেয়ে বড় গুণ, নতুন ক্লাবে, নতুন সতীর্থদের সঙ্গে দ্রুতই মানিয়ে নিতে পারেন। একে অন্যের সঙ্গে সেই মানিয়ে নেওয়ার কাজটা নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপে জুটি আরও বিস্ময়করভাবে সেরে ফেলেছেন! দুজনের পরিচয় মাত্র দুই সপ্তাহের। এক সঙ্গে খেলেছেন মাত্রই দুটি ম্যাচ। আর সেই দুটি ম্যাচ দিয়েই নেইমার এবং এমবাপে বিশ্ববাসীকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা দারুণ। একজন আরেকজনের চোখের ভাষাটা পড়ে ফেলতে পারছেন খুব সহজেই! যেন দুজনে একসঙ্গে খেলছেন বহু বছর ধরে! জুটি হিসেবে এই দুই নতুন তুর্কির বোঝাপড়া দেখে পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার মারকুইনহোস বিস্ময়াভিভূত।
ফ্রান্সের ১৮ বছর বয়সী তরুণ এমবাপেও কম যাচ্ছেন না। আগামী মৌসুমে স্থায়ী চুক্তি হবে, এই শর্তে ফরাসি তরুণ মোনাকো থেকে আপাতত পিএসজিতে যোগ দিয়েছেন ধার চুক্তিতে। চুক্তিটা হয়েছে গত ৩১ আগস্ট, দলবদলের শেষ দিনে। এরপর নতুন ক্লাব পিএসজির হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন এমবাপে। ফরাসি তরুণ সেই দুই ম্যাচেই করেছেন গোল। তার চেয়েও বড় কথা, নেইমার ও এডিনসন কাভানির সঙ্গে আক্রমণভাগে জুটি বেঁধে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে কাঁপিয়ে দিয়েছেন। একে অন্যের সঙ্গে বল আদান-প্রদান, চোখের ভাষা বুঝে পজিশন নেওয়া-সবকিছুতেই বোঝাপড়াটা অবিশ্বাস্য। যা দেখে মারকুইনহোসেরই মনে হচ্ছে দুজনের চেনা-জানা কত বছরের! ‘মাঠে নেইমার ও এমবাপের যোগাযোগটা অবিশ্বাস্য। দেখে মনে হয়, দুজনের জানা-শোনাটা যেন অনেক বছর ধরে’-বলেছেন মারকুইনহোস।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেইমার-এমবাপে জুটির এই বোঝাপড়াটা আরও সমৃদ্ধ হবে বলেই বিশ্বাস মারকুইনহোসের, ‘তাদের একসঙ্গে আরও কাজ করতে হবে। আমি আত্মবিশ্বাসী, মাঠে তাদের বোঝাপড়াটা আরও নিখূঁত হবে।’ পিএসজির স্প্যানিশ কোচ উনাই আমরিও নেইমার ও এমবাপের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। ভোরের সূর্য নাকি দিনের পূর্বাভাস দেয়। চিরন্তন এই প্রবাদের সূত্র ধরে বলাই যায়, নেইমার-এমবাপে-কাভানি মিলে পিএসজি বিস্ময়কর আক্রমণ ত্রয়ীই গড়ে তুলতে যাচ্ছেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি