নিজস্ব প্রতিবেদক:
গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ সরবরাহের জেনারেটর ও পার্কিংস ইঞ্জিনগুলো ত্রুমশ বিকল হয়ে যাওয়ায় হাতিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে গ্রাহকদেরকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
বিদ্যুৎ অফিস সুত্রে জানা যায়, চারদিকে মেঘনা নদী বেষ্টিত নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জনসংখ্যা প্রায় ৫ লাখ। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাশিয়া ও আমেরিকা থেকে ছোট বড় ছয়টি জেনারেটর এনে এ উপজেলা সদরের মুষ্টিমেয় কিছু গ্রাহককে বিদ্যুৎ দেয়ার ব্যবস্থা করে সরকার। কিন্তুু জেনারেটরগুলো ডিজেল চালিত হওয়ায় বছরের বেশীর ভাগ বিভিন্ন অনিয়ম ও আর দুর্ণীতির কারণে অকোজো হয়ে পড়ে থাকতো। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতে দাবিতে স্থাণীয়রা নানা আন্দোলন কর্মসুচী পালন করে। পুরনো ছয়টি জেনারেটরের মধ্যে তিনটি পুরোপুরি বিকল হয়ে পড়ে। দুটি মেরামত যোগ্য হলেও তাও পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। একটি দিয়ে কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন করে সরবরাহ করে আসছিলো। বর্তসানে সেটিও বন্ধ রয়েছে। সূত্রে আরো জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২১০৬ সালের ৯ ফ্রেব্রুয়ারি ইংল্যান্ড থেকে পারকিনস নামক ৫০০ কে,ভি দুটি জেনারেটর এনে বসানো হয়। স্থাপিত নতুন দুটি জেনারেটর থেকে (৪০০+৪০০)=৮০০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে উপজেলার ওছাখালী সদরের পৌর এলাকা, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন কার্যালয়ে দুই হাজার একশত তিন জন গ্রাহককে দিনে দুই বার (প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১২ টা এবং বিকেলে ৪ টা থেকে রাত ১ টা পর্যন্ত) বিদ্যুত দিয়ে আসছিলো। কিন্তুু সেখানে ও চলে লোডশেডিং। এক ঘন্টা বিদ্যুৎ পেলে গ্রাহকরা আরেক ঘন্টা বিদ্যুৎ পায়না ।
এ ব্যাপারে আবাসিক প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, ইঞ্জিন মেরামতের কাজ চলছে এবং উদ্ভুত পরিস্থিতি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।হাতিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রে নতুন ২টি ৫শ কেভি ক্ষমতা সম্পন্ন পার্কিংস ইঞ্জিন স্থাপন করা হলে ও ওয়ারেন্টির সময় সীমা শেষ না হতেই ইঞ্জিনগুলো বিকল হয়ে যায়। ইতোমধ্যে ওই দুটি ইঞ্জিন মাসের বেশীর ভাগ সময় বিকল হয়ে থাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছিলো। সর্বশেষ একটি ইঞ্জিন দিয়ে লোড়শেডিংয়ের মাধ্যমে পৌরসভার কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে ও গত ১৩ সেপ্টম্বর ইঞ্জিনটি চলন্ত অবস্থায় পুড়ে যায়। এতে করে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পুন্ন বন্ধ হয়ে যায়।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ