সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে তৃতীয় দফায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চৌহালীর ২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখনো নেওয়া হয়নি ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা। যমুনার রাক্ষুসী থাবা থেকে ঘর-বাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ফসলি জমি রক্ষায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের। অপরদিকে যমুনার পশ্চিম পাড় এনায়েতপুরের ৫টি গ্রামজুড়ে আবারো শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। ভাঙনে বিধ্বস্ত চৌহালী উপজেলার খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের খাষদেলদারপুর সরকারি প্রাথমিক ও বীরবাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নদীতে বিলীন হয় এই ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৫’শ কোমলমতি শিক্ষার্থী দুর্ভোগে পড়েছে। শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে ভাঙন অব্যাহত থাকলে চৌহালী উপজেলার প্রায় ১১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে। খাষদেলদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন বলেন, যমুনা নদীতে স্কুল ভবন, বাথরুম ও টিউবওয়েল নদীগর্ভে চলে গেছে। সামনে সমাপনী পরীক্ষা এখন শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিয়ে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছি। স্কুলটি সেখান থেকে সরিয়ে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি।
বিরবাউনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুল বার বার নদীতে ভেঙে যাওয়ায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে দিন দিন ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। দ্রুত স্কুলটি স্থানান্তর করা প্রয়োজন। চৌহালী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর ফিরোজ জানান, ভেঙে যাওয়া স্কুল দুটির শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অন্য স্থানে পাঠদান চালু রাখা হয়েছে। নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর নতুন ভবন নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। নতুন ভবন নির্মাণ হলে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমে যাবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি