নিজস্ব প্রতিবেদক:
চূড়ান্তভাবে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নিতে হবে মিয়ানমারকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে জাতিসংঘ ও বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে পাশে থাকার আহ্বান জানালেন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঘর পোড়ানোর যন্ত্রণা অনুধাবন করতে পারি বলেই মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। যতটুকু পারি আশ্রিতাদের সহযোগিতা দেব। তবে বিশ্ববাসীকেও সঙ্গে থাকাতে হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানবিক বিবেচনায় আমারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি। আমরা তাদের পাশে থাকব। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিকভাবে জনমত গড়ে তোলার কথাও জানান তিনি।’
এর আগে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে বেলা সাড়ে ১১টায় কুতুপালং ক্যাম্পে পৌঁছায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহর। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে অবতরণ করে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ১৯০৯ ফ্লাইটটি।
তার সফরসঙ্গী হয়ে ঢাকা থেকে আসেন ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী জাবেদ, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ ইকবালুর রহিম, কক্সবাজারের সাংসদ সাইমুম সরোয়ার কমল, সাতকানিয়ার সাংসদ আবু রেজা নদভী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম, মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, সিনিয়র সচিব সইরা বেগম ও এহসানুল করিম।
কক্সবাজার বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, উপদফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে শুরু হওয়া বর্বরতায় প্রাণ বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে তিন লক্ষাধিক রোহিঙ্গা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি