বিনোদন ডেস্ক:
টিভির দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি টিআরপি ওঠে যে কোনও ফেয়ারনেস ক্রিম বা ফেয়ারনেস জেলের বিজ্ঞাপনে। রূপালি পর্দার ঝাঁ চকচকে নায়িকাদের অনুসরণ করতে কে না চায়? বিজ্ঞাপনে যখন ফলাও করে বলা হয় ওমুক নায়িকার তরতাজা ত্বকের রহস্যের পিছনে আছে এই বিশেষ ক্রিমের অবদান, তখনই হুড়মুড়িয়ে বেড়ে যায় সেই ক্রিমের বিক্রি। ফর্সা, সুন্দর ত্বকের জন্য মরিয়া এখন আট থেকে আশি। সম্প্রতি এমন বিজ্ঞাপনেই আপত্তি জানিয়েছেন বলিউডের বেশ কিছু সেলিব্রিটি। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া তাদের মধ্যে অন্যতম।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাত্কারে ‘পিগি চপস’ জানিয়েছেন, এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলি রং নিয়ে বৈষম্য আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশেষত জেন ওয়াই এখন সেলিব্রিটিদের অনুসরণ করতে চায়। ফলে নিজের গায়ের রং নিয়ে সবাই এখন সচেতন। ফর্সা, সুন্দরী হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে তরণীদের মধ্যে মানসিক অবসাদ আরও বাড়ছে। প্রিয়াঙ্কার কথায়, টিনএজে তিনিও একবার ফেয়ারনেস ক্রিমের বিজ্ঞাপন করেছিলেন। যার জন্য এখন তিনি অনুতপ্ত। প্রত্যেক মানুষেরই তার নিজের সৌন্দর্য্য নিয়েই খুশি থাকা উচিত। তাতে আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়ে।
‘ডাস্কি বিউটি’ প্রিয়াঙ্কা বরাবরই সোজাসাপটা কথা বলতে পছন্দ করেন। তার কথায়, বেশির ভাগ বিজ্ঞাপনেই দেখানো হয় ক্রিম ব্যবহারের এক সপ্তাহের মধ্যেই গায়ের রং হবে উজ্জ্বল, তরতাজা। কিন্তু তেমনটা কখনই হয় না। তার কথায়, “আমিও একবার বিজ্ঞাপনে এমনটাই বলেছিলাম। এরপর নানা সময়ে সদ্য টিনএজ পেরনো মেয়েদের মানসিক অবসাদে ভুগতে দেখেছি। তখন মনে হয়েছে, ইস! আমি এটা কী করলাম? আমি সত্যিই এই বিজ্ঞাপন করায় অনুতপ্ত।’’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি