শিল্প–সাহিত্য ডেস্ক:
কিংবদন্তি নজরুল সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ৯ সেপ্টেম্বর। তিনি ২০১৪ সালের এই দিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অসংখ্য কালজয়ী গানের মাধ্যমে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এ শিল্পী। এই দিনে ফিরোজা বেগম প্রসঙ্গে বললেন রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, ‘আমাদের সংগীতকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছেন ফিরোজা বেগম। নতুন প্রজন্মকে শিল্পী হতে হলে ফিরোজা বেগম সম্পর্কে জানতে হবে। গুণীদের তৈরি করা পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতেই নতুন পথ তৈরি করতে হবে। আমাদের তরুণ প্রজন্মের মাঝে অস্থিরতা অনেক বেশি। তারা শর্টকাটে বড় হতে চান। কিন্তু সংগীতচর্চায় শর্টকাট বলে কিছু নেই। এখানে যে সাধনা করবে সেই টিকে থাকবে, শিল্পী হয়ে উঠবে।’
চলতি বছর ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক’ পেয়েছেন বন্যা। ফিরোজা বেগমের স্মৃতি রক্ষার্থে ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ট্রাস্ট ফান্ড’-এর অর্থায়নে ২০১৬ সাল থেকে ‘ফিরোজা বেগম স্মৃতি স্বর্ণপদক ও পুরস্কার’ প্রদান শুরু হয়েছে। প্রথমবার পদক পান সাবিনা ইয়াসমিন। ১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন ফিরোজা বেগম। বাবা খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল ছিলেন বৃটিশ সরকারের প্রথম মুসলমান সরকারি কৌঁসুলি। মায়ের নাম বেগম কওকাবুন্নেসা।
উপমহাদেশীয় সংগীতের অন্যতম পুরোধা ছিলেন ফিরোজা বেগম। সঙ্গীতের সব শাখায়ই ছিলো তার পদচারণা। তবে নজরুল সংগীতে নিজেকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরোজা বেগম ১৯৪২ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত কলকাতায় নিয়মিত গান করেন। পরে চলে আসেন ঢাকায়। ১৯৪২ সালের ডিসেম্বরে এইচএমভি থেকে প্রথম রেকর্ড বের হয়। এরপর একের পর এক রেকর্ড বের হতে থাকে। আধুনিক গান, রবীন্দ্রসংগীত, গজল, ভজন সব গানই তখন করেছেন।
ফিরোজা বেগম পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। উল্লেখযোগ্য হলো— স্বাধীনতা পুরস্কার, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ টিভি শিল্পী পুরস্কার (পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ), নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, স্যার সলিমুল্লাহ স্বর্ণপদক, দীননাথ সেন স্বর্ণপদক ও সত্যজিৎ রায় স্বর্ণপদক। ২০১২ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ নজরুল সম্মাননা পান ফিরোজা বেগম।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি