২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:১৯

বন্যায় বিপর্যস্ত শাহজাদপুর : জেগে উঠছে ক্ষত

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে:
চলতি বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে গেছে শাহজাদপুর উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদ। পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে জেগে উঠতে শুরু করেছে বন্যার ভয়াবহ ক্ষত। রাস্তাÑঘাট,ব্রীজ-কালভার্ট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,হাট-বাজার ,বসতবাড়ী কোনটিই বাদ যায়নি বন্যার ছোবল থেকে। অথচ কিছুদিন আগেও এসব এলাকার রাস্তা-ঘাট ,ঘরবাড়ী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি দৃষ্টিনন্দন ছিলো। নি¤œাঞ্চল হিসেবে পরিচিত উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সিংহভাগ গ্রামই আক্রান্ত হয়েছে বন্যার ভয়াবহতায়। বিশেষ করে শাহজাদপুর-জামিরতা সড়ক,গোপালপুর-এনায়েতপুর সড়ক, রাণীকোলা-পোরজনা সড়ক সম্পূর্ণ চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সরে জমিনে ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন কাচা পাকা সড়কের বেহাল চিত্র লক্ষ করা গেছে। এসব সড়ক দিয়ে যানবহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাই কঠিন। ফলে জনদূর্ভোগ বাড়ছে চরমভাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিরও বেহাল দশা। বিশেষ করে বিভিন্ন আধাপাকা হাইস্কুল,মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন বন্যায় চরম ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান দ্রুত সংস্কার করা না গেলে পাঠদানে বিঘœ ঘটবে। একই অবস্থা উপজেলার গ্রামীণ হাট-বাজার গুলির। বন্যায় বিধ্বস্ত বাজারগুলির অবকাঠামো ভেঙ্গে পড়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যেও চরম বিঘœ ঘটছে। বিশেস করে যমুনা তীরবর্তী গ্রামগুলির অবস্থা একেবারেই নাজুক। যমুনা চরের বাসিন্দাদের ঘর-বাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে রেকর্ডসংখ্যক। নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর মত অর্থ নেই বানভাসী অসহায় পরিবারগুলোর। এজন্য তারা সরকারি বেসরকারি সাহায্য কামনা করেছেন। বানভাসী অনেকেই বাড়ী ঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় ঘরে ফিরতে পারছেননা। অনেকেই এখনও সড়ক মহাসড়কে ডেরা বেঁধে বসবাস করছেন। বন্যার পর থেকেই নি¤œ আয়ের শ্রমজীবি মানুষের কোন কাজকর্ম না থাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে চলছে মানবেতর জীবনযাপন। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাঁদের। এখন বিধ্বস্ত বাড়ী-ঘর সংস্কার মরার উপর খঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পানি নেমে গেলেও অনেক স্থানে এখনও পানি রয়েছে বাড়ীর আঙ্গিনায় । ফলে চলাচলে চরম বিঘœ ঘটছে। বাড়ীর উঠানে কাঁদা জমে আছে হাঁটুসই,ফলে দূর্ভোগের যেন শেষ নেই। ফলে ভয়াবহ বন্যার প্রায় এক মাস পেরিয়ে গেলেও দুর্ভোগ এখনো পিছু ছাড়েনি এসব বন্যাকবলিত মানুষদের। বন্যার পানিতে ভেঙে গেছে শত শত বাড়ি-ঘর। বন্যার শুরু থেকে এ পর্যন্ত আশ্রয়হীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে এখনো দিনাতিপাত করছে অর্ধশতাধিক পরিবার। যাদের অধিকাংশ পরিবারই সরকারি কোনো সহায়তা পায়নি। আর যারা পেয়েছে তাও আবার ওজনে কম বা একটি বরাদ্দকৃত ত্রাণ ভাগ করা হয়েছে দুটি পরিবারের মাঝে।

দৈনিক দেশজনতা/এন আর

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৭ ৯:১১ অপরাহ্ণ