নীলফামারীর ডোমারে ঘরে ঢুকে গৃহকর্তা অতুল চন্দ্র রায়কে (৬০) একা পেয়ে টেপ দিয়ে হাতা,পা ও মুখ বেধে হত্যা করে বাড়ির জিনিসপত্র চুরি করে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের নয়ানী বাকডোকরা মাস্টার পাড়ায় ঘটনাটি ঘটে। নিহত অতুল চন্দ্র নয়ানী বাকডোকরা গ্রামের বিষ্ট রাম মোহনের ছেলে। অতুল চন্দ্রের নাতি সুমন রায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত অতুল রায়ের মেয়ের ছেলে (নাতি) সুমন বলেছেন, ‘সকালে আমার নানী আমার মামীকে আনার জন্য পাশ্ববর্তী ডিমলার ডালিয়ায় যান। বাড়িতে নানু অতুল রায় একাই থাকবে বলে আমাকে তার সাথে থাকার জন্য বলে। আমি সন্ধা ৬টার দিকে বই খাতা নিয়ে নানুর বাড়িতে এসে দেখি বাড়ির গেট ভিতর দিক দিয়ে বন্ধ রয়েছে।প্রায় আধাঘন্টা নানুকে ডাকাডাকির পর সারাশব্দ না পেয়ে আমি দেয়াল টপকে নানুর বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরে ঢুকতেই দেখি বাড়ির সব দরজা খোলা। ভিতরে প্রবেশ করে দেখি ঘরের দরজায় নানুর হাত,পা ও মুখ টেপ ও শাড়ী দিয়ে বাধা। আমি হতচকিত হয়ে পাশেই আমার মামার বাড়ীতে গিয়ে তাদের ডেকে আনি। তারাসহ আমি হাত,পায়ের বাধন খুলে নানুকে অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহত অতুলের ভাতিজা মনি ভুষন রায় বলেছেন, ‘আমার কাকাত ভাই বিপুল দক্ষিণ কোরিয়ায় থাকেন। বাড়িতে আমার কাকা,কাকী আর বৌদি থাকে। আজ সকালে কাকী আমার বৌদিকে বাপেরবাড়ি ডালিয়ায় আনতে যায়। বাড়িতে আমার কাকা একাই ছিল। এই সুযোগে কে বা কাহারা বাড়িতে প্রবেশ করে কাকাকে টেপ ও শাড়ী দিয়ে বেধে হত্যা করে পালিয়ে যায়।’
দৈনিক দেশজনতা/এন আর