কক্সবাজার প্রতিনিধি:
তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোয়ান হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা মুসলমানদের অবস্থা দেখতে এবং তাদের সহয়তা করতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার একটি শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। এ সময় তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুট ক্যাভুফোগলুও ছিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে তারা উখিয়া উপজেলার কুতুবপালংয়ের নিবন্ধিত একটি ক্যাম্পে যান এবং সেখানে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা দেখেন। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও উপস্থিত ছিলেন। পরে তুর্কি ফার্স্ট লেডি সেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর রাত ৩টায় তুরস্কের ফার্স্ট লেডি তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে একটি নিজস্ব বিমান হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরে এমিনি এরদোয়ানকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম স্বাগত জানান। সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, তুরস্কের ফার্স্ট লেডি ঢাকায় ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এদিকে তুর্কি সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি জানিয়েছে মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সহিসংতা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৩ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। তবে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে দেড় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইপ এরদোয়ান জানিয়েছেন এই বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জরুরি সহায়তা দিতে ১০ হাজার টন ত্রাণ পাঠানোর কথা।
বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিদর্শনে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোয়ান এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভোসৌলু সরকারকে এ প্রস্তাবের কথা জানান। ধারণা করা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। অপরদিকে বুধবার মিয়ামনারে পৌঁছেছে রোহিঙ্গাদের জন্য তুর্কি সরকারের ত্রাণবাহী জাহাজ। মিয়ানমার সরকার তা আনুষ্ঠানিকভাগে গ্রহণও করেছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি