নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেলার আশাশুনি উপজেলায় ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের সদস্যের নেতৃত্বে প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তত ১০ জন আহত হন। আশাশুনি উপজেলার কুল্ল্যা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে বুধবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- পলাশ ঘোষ, উজ্জল ঘোষ, বাবুলাল ঘোষ, কালিপদ ঘোষ ও সুমন সুকুমার ঘোষ। বাকিদের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় অধিবাসী শংকর ঘোষ জানান, স্থানীয় গোলযোগকে কেন্দ্র করে জেলা পরিষদের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে তার বাহিনী রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালায়। এতে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। পরে তারা কচুয়া সার্বজনীন পূজা মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুর করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঙ্গুর হোসেন বলেন, ‘আমি সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি কয়েকটি প্রতিমা ভাঙচুর ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার ও তার বাহিনী এ কাজ করেছেন বলে আমি শুনেছি।’
জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি স্থানীয় গুনাকরকাটি বাজারে চুল ছাটাই করছিলাম। আমার দুই ভাগ্নে শুভ ও শাওন আমাকে নিতে আসছিল। পথিমধ্যে কচুয়া ঘোষ পাড়া নামকস্থানে পৌঁছলে কিছু যুবক আমাকে নিয়ে কটূক্তি করছিলেন। এ সময় আমার ভাগ্নেদের সঙ্গে তাদের কথাকাটি এবং হাতাহাতি হয়। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সঠিক নয়।’
আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদুল ইসলাম সাহিন জানান, ৩টি প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে চঞ্চল ও শাহরিয়ার নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ