গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলা সদরের কালিবাড়ি হাটে বুধবার সকাল থেকে পশুর চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে। কেনার দামেও বিক্রি করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। এবার কোরবানির পশুর চামড়া কিনে তাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। জেলা সদরের চামড়া ব্যবসায়ী আব্দুল জোব্বার জানান, আগে থেকেই প্রতি ঈদুল আজহার পরের বুধবার ওই স্থানে চামড়ার হাট বসে। সেই সূত্র ধরে এবারো একই স্থানে সকাল থেকে চামড়া বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এ হাটে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলা ছাড়াও জয়পুরহাট, নওগাঁ, নাটোর, রাজশাহী, বগুড়া ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার চামড়া ব্যবসায়ীরা আসছেন। ঈদের দিন থেকে শুরু করে মঙ্গলবার পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪৫০টি গরু ও ১২০টি খাসির চামড়া কিনেছেন। প্রতি গরু চামড়া ৮’শ থেকে ১২’শ টাকায় কিনেছেন। এছাড়া খাসির চামড়া ১০০ থেকে ৩শ’ টাকায় কিনেছেন। হাটে এসব চামড়া ঢাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীরা দেখছেন। কিন্তু তারা যে দর হাঁকছেন, সেই দরে চামড়া বিক্রি করলে লোকসান হবে।
ওই হাটে আসা চামড়া ব্যবসায়ী আফজাল হোসেন জানান, তিনি গরুর চামড়া ৭০০ থেকে ১২’শ টাকা, খাসির চামড়া ১০০ থেকে ২০০ টাকায় কেনার পর তা লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করছেন। লবণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি চামড়া সংরক্ষণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন’শ টাকা। কিন্তু ট্যানারি মালিকদের বেঁধে দেওয়া দরে ক্রয়মূল্য থেকে বিক্রয়মূল্য অল্প হওয়ায় এবার লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের। পলাশবাড়ী চামড়া হাটের সাধারণ সম্পাদক মিনু মন্ডল বলেন, কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াজাতের জন্য লবণ হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কিন্তু লবণ নিয়ে করা হয় সিন্ডিকেট। কোরবানির ঈদে জেলা থেকে অন্তত ৫ কোটি টাকার চামড়া কেনেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবার চামড়ার মূল্য কম হওয়ায় ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এবার কি পরিমাণ চামড়া বেচাকেনা হবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। তবে সময় থাকতে চামড়া ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ দিতে সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। তা না হলে প্রকৃত চামড়া ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পথে বসবেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি