নিজস্ব প্রতিবেদক:
পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, শুধু মুসলিম হওয়ার কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর সীমাহীন নির্যাতন চালানো হচ্ছে। প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা জীবন বাঁচাতে এখনো দুর্গম পাহাড়ে খারাপভাবে অবস্থান করছে। তারা ভয়াবহ খাদ্য সংকটে ভুগছে। এতে মানবিক বিপর্যয় হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী। মিয়ানমারের রাখাইনের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশমুখী স্রোত আরও তীব্র হচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। ফলে ২৫ আগস্ট থেকে নতুন করে সংকট তৈরির পর এ পর্যন্ত প্রায় সোয়া লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, এ সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। প্রতি মুহূর্তেই এ সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে রাখাইনের সবচেয়ে সংঘাতময় এলাকা মংডুকে সামরিক ‘অভিযান এলাকা’ ঘোষণা করেছে মিয়ানমার সরকার।
নদীপথে বাংলাদেশে আসার সময় নৌকাডুবিতে অর্ধশতাধিক রোহিঙ্গার নির্মম মৃত্যু হয়েছে। এ অবস্থায় ভূমধ্যসাগর থেকে ৪০ হাজারেরও বেশি শরণার্থীকে উদ্ধারের দাবি করা একটি সংগঠন তাদের কার্যক্রম মিয়ানমারে সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছে। সেনাবাহিনীর চরম নির্যাতন-হামলা আর ধর্ষণের মুখে রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গা কোথাও জায়গা না পেয়ে মিয়ানমারের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে আটকা পড়েছে। খাদ্য, পানি, বাসস্থান ও চিকিৎসার অভাবে এসব মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা মূলত নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। কিন্তু সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বাধায় তারা প্রবেশ করতে না পেরে ফিরে যায়। তারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ভয়ে নিজেদের গ্রামে বা বাড়িতেও ফিরতে পারছে না। তাদেরই একটি অংশ রাখাইন রাজ্যের মংডু ও রাথেডং শহরের কাছাকাছি পাহাড়ি এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। বার্মা হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক কিউ উইন বলেন, ‘এখানে যারা আটকে আছে, তারা ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে রয়েছে। মানবিক কারণেই যত দ্রুত সম্ভব তাদের উদ্ধার করা উচিত।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ