বিনোদন ডেস্ক:
নাটোরের দিঘাপতিয়া রাজবাড়ির উত্তরা গণভবনে চিত্রায়িত হয়েছে শাকিব খান ও শবনম বুবলি অভিনীত ‘রংবাজ’। স্থানীয় ছায়াবানী সিনেমা হলে সে আগ্রহেই ছবিটি দেখতে দর্শকের ঢল নেমেছে। পাশাপাশি রয়েছে শাকিব ভক্তদের উম্মাদনা। অন্যদিকে একই জুটির ‘অহংকার’ প্রদর্শিত হচ্ছে দয়ারামপুরের গ্যারিসনে। হল দুটি সূত্রে জানা যায়, ঈদের ছুটিতে দর্শক সমাগম সন্তোষজনক। তারা চান, সারাবছর এ রেশ জারি থাকুক। বড়াইগ্রামের লক্ষীপুর থেকে ইসলাম হোসেন এসেছেন ‘রংবাজ’ দেখতে। তিনি জানান, এক দশক পর ছবি দেখতে এসেছেন প্রেক্ষাগৃহে। আগের মতো সিনেমা ও পরিবেশ না থাকায় আসেননি এতদিন। তাছাড়া সহজেই ইউটিউবসহ অন্যান্য মাধ্যমে সিনেমা দেখা যায় ঘরে বসে। কিন্তু ‘রংবাজ’ নাটোরে চিত্রায়িত হওয়ার কথা শুনে বন্ধুদের সাথে দেখতে এসেছেন। এদিকে সিংড়ার সুমন হোসেন জানান, তার উপজেলায় আগে তিনটি সিনেমা হল ছিল। বর্তমানে একটিও চালু নেই। যার কারণে ছায়াবানীতে ছবি দেখতে এসেছেন। তিনি আরো বলেন, “রংবাজ’-এর শুটিং নাটোরে হয়েছে, এমন কথা শুনে ৮-১০জন বন্ধু মিলে এসেছি।” ঈদের মৌসুমে দর্শকের অভাব না থাকলেও অন্যসময় খালিই থাকে প্রেক্ষাগৃহ। এ কারণে জেলার ১৩টি সিনেমা হলের মধ্যে চালু আছে মাত্র দুটি। বন্ধ হওয়া হলের মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার গীতি, স্টেশন বাজারের রোজি, হাসিনা, সিংড়ার বনলতা, বিচিত্রা, গুরুদাসপুরের কিরণ, বিউটি, বনপাড়ায় মমতাজ, হিরামন ও স্বর্ণলতা।
১৯৪৮ সালে জয়নাল আবেদিন জুলু মিয়া শহরের ট্রাফিক মোড়ে ছায়াবানী সিনেমা হলটি নির্মাণ করেন। ওই সময় হলটি কখনো দর্শক খরায় ভুগেনি। বর্তমান মালিক শফিকুর রহমান শফিক জানালেন ডিজিটাল যুগে এসে বেগ পেতে হচ্ছে। হলটি দর্শক শূন্যতার কারণে বেশ কয়েকবার বন্ধও করে দেওয়া হয়। বৈশাখে ডিজিটালে রূপান্তরের পর পুনরায় চালু করা হয়। ছায়াবানীর বর্তমান অবস্থার কথা শুনালেন শফিকুর রহমান শফিক। তিনি বলেন, ‘ঈদের আগের দিনও দর্শক শূন্য ছিল হল। ঈদের ছুটিতে দর্শকরা সিনেমা হলমুখী হওয়ার কারণে এবার ব্যবসা ভালো হবে।’ যদি প্রযোজক ও নির্মাতারা মনোযোগী হন তবে দর্শক নন্দিত সিনেমা তৈরি হবে বলে মনে করেন। তাহলে বাকি সিনেমা হলগুলো আবার চালু হবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি