এম,এ,জাফর লিটন,শাহজাদপুর
শাহজাদপুরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য দরিদ্র শ্রমজীবি অসহায় মানুষদের চোখের ঘুম কেড়ে নিয়েছে এন,জিও কিস্তি। আয় উপার্জন না থাকলেও কিস্তির টাকা পরিশোধ করে না খেয়ে থাকতে হচ্ছে পরিবার পরিজন নিয়ে। কেউ আবার সুদের উপর ঋণ নিয়েও এন,জিও কিস্তি পরিশোধ করছেন। একদিকে বন্যা প্রভাবে সংসারে লেগে থাকা অভাব অপরদিকে নদী ভাঙ্গন,ঘরবাড়ীর বেহাল অবস্থার সাথে কিস্তির খড়গ বানভাসীদের এনে দিয়েছে চরম অশান্তি। ফলে এক বুক হাতাশাই বিরাজ করছে শাহজাদপুর উপজেলার বানভাসী বিভিন্ন দরিদ্র পরিবারের মাঝে। যমুনা চরের ভাটদিঘুলিয়া গ্রামের মুদি দোকানদার মানকু শেখ জানান, তিনি বাড়ীর উঠানে ছোট্ট একটি মুদি দোকান চালান। বেশির ভাগ বিক্রি হয় বাকীতে। কিন্তু বন্যার পানি সে দোকান ডুবিয়ে দিয়েছে। চারদিকে অথৈ পানি। বাড়ীর উঠানে বুক পর্যন্ত পানি। দোকানপাট,কেনাবেচা সব বন্ধ। কিন্তু এন,জিও থেকে ঋণ নেয়া আছে। কিস্তির টাকা মাফ নাই। যেখানে সংসার চালানোই কঠিন সেখানে কিস্তি দেব কোথা থেকে। পাঁচিল গ্রামের বেপারী পাড়ার বেশ কয়েক জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধির শুরুতেই যমুনায় ভেঙ্গে গেছে ঘর-বাড়ী, এখন উচুঁ সড়কে বসবাস করছেন, কিন্তু এন,জিও লোকজন পিছু ছাড়ছেননা তাঁদের। কিস্তি দিতে না পাড়লে বাড়ীর উঠানে এসে হাটু গেড়ে বসেন এন,জি,ও ফিল্ড অফিসাররা। তাই সুদের বিনিময়ে টাকা এনেও কিস্তি দিচ্ছে অনেকে। চারদিকে অথৈ পানি আয় রোজগার নেই খেয়ে না খেয়ে যেখানে কাটছে দিন সেখানে বোঝা এখন এন,জিও ঋণ। শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা চর ও যমুনা তীরবর্তী এলাকা ছাড়াও ১৩টি ইউনিয়নের মানুষ বিভিন্ন এন,জিও থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। ব্র্যাক,গ্রামীণব্যাংক,আশা,মানবমুক্তি সংস্থা,উদ্দীপন,গাকসহ স্থানীয় ও দেশি-বিদেশী অর্ধশত এন,জিও শাহজাদপুর উপজেলায় কার্যক্রম চালাচ্ছে। যমুনার চরাঞ্চল ও তীরবর্তী অভাবী মানুষগণ প্রয়োজনের তাগিদে এন,জিও ঋণ নিলেও শুষ্ক মৌসুমে কাজ কর্মের সুবাদে কষ্ট করে কিস্তির টাকার যোগান দিলেও বর্তমানে কাজ কাম না থাকায় তা আর সম্ভব হচ্ছেনা। নৌকা নিয়ে হাটু পানি ভেঙ্গে কিস্তি নিয়ে যাচ্ছেন। এই বন্যার সময় সাধারণ মানুষের কিস্তির টাকার যোগার মরার উপর খড়ার ঘা। এ ব্যাপারে জনৈক এন,জিও কর্মী জানান, আমরা কি করবো অফিসের চাপ। তবে উপর থেকে কিস্তি বন্ধের নির্দেশনা পাইনি। তবে এ ব্যাপারে এক এন,জিও কর্মকর্তা জানান, খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে অসমর্থদের নিকট থেকে আদায় করতে চাপ দিচ্ছিনা। সমর্থবানদের কিস্তি আদায় হচ্ছে। ভাঙ্গন,ঘরবাড়ীর বেহাল অবস্থার সাথে কিস্তির খড়গ বানভাসীদের এনে দিয়েছে চরম অশান্তি। ফলে এক বুক হাতাশাই বিরাজ করছে শাহজাদপুর উপজেলার বানভাসী বিভিন্ন দরিদ্র পরিবারের মাঝে। যমুনা চরের ভাটদিঘুলিয়া গ্রামের মুদি দোকানদার মানকু শেখ জানান, তিনি বাড়ীর উঠানে ছোট্ট একটি মুদি দোকান চালান। বেশির ভাগ বিক্রি হয় বাকীতে। কিন্তু বন্যার পানি সে দোকান ডুবিয়ে দিয়েছে। চারদিকে অথৈ পানি। বাড়ীর উঠানে বুক পর্যন্ত পানি। দোকানপাট,কেনাবেচা সব বন্ধ। কিন্তু এন,জিও থেকে ঋণ নেয়া আছে। কিস্তির টাকা মাফ নাই। যেখানে সংসার চালানোই কঠিন সেখানে কিস্তি দেব কোথা থেকে। পাঁচিল গ্রামের বেপারী পাড়ার বেশ কয়েক জানান, বন্যার পানি বৃদ্ধির শুরুতেই যমুনায় ভেঙ্গে গেছে ঘর-বাড়ী, এখন উচুঁ সড়কে বসবাস করছেন, কিন্তু এন,জিও লোকজন পিছু ছাড়ছেননা তাঁদের। কিস্তি দিতে না পাড়লে বাড়ীর উঠানে এসে হাটু গেড়ে বসেন এন,জি,ও ফিল্ড অফিসাররা। তাই সুদের বিনিময়ে টাকা এনেও কিস্তি দিচ্ছে অনেকে। চারদিকে অথৈ পানি আয় রোজগার নেই খেয়ে না খেয়ে যেখানে কাটছে দিন সেখানে বোঝা এখন এন,জিও ঋণ। শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা চর ও যমুনা তীরবর্তী এলাকা ছাড়াও ১৩টি ইউনিয়নের মানুষ বিভিন্ন এন,জিও থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। ব্র্যাক,গ্রামীণব্যাংক,আশা,মানবমুক্তি সংস্থা,উদ্দীপন,গাকসহ স্থানীয় ও দেশি-বিদেশী অর্ধশত এন,জিও শাহজাদপুর উপজেলায় কার্যক্রম চালাচ্ছে। এই বন্যার সময় সাধারণ মানুষের কিস্তির টাকার যোগার মরার উপর খড়ার ঘা। এ ব্যাপারে জনৈক এন,জিও কর্মী জানান, আমরা কি করবো অফিসের চাপ। তবে উপর থেকে কিস্তি বন্ধের নির্দেশনা পাইনি। এ ব্যাপারে এক এন,জিও কর্মকর্তা জানান, খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে অসমর্থদের নিকট থেকে আদায় করতে চাপ দিচ্ছিনা। সমর্থবানদের কিস্তি আদায় হচ্ছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ