ক্রীড়া প্রতিবেদক:
সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেটে ২৫৩ রান। মুশফিকুর রহীম ৬২ এবং নাসির হোসেন ১৯ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
মুশফিক টস জিতে ব্যাট নেয়ার পর দেখে শুনে শুরু করেন তামিম, সৌম্য। কামিন্স আগের টেস্টের মতো শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। নাথান লায়ন বারবার বিভ্রান্ত করেছেন। তিনি আক্রমণে আসলে সতর্ক ব্যাটিং করেও টিকতে পারেননি তামিম ইকবাল (৯), ইমরুল কায়েস (৪) এবং সৌম্য সরকার (৩৩)। দিনের প্রথম সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৭০। সবকটি উইকেট ওই লায়নের।
দশম ওভারের প্রথম বলে সহজাত ভঙ্গিতে একটু উঠে এসে লায়নকে মোকাবিলা করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন তামিম ইকবাল। চার ওভার বাদে সুইপ করতে গিয়ে পায়ে লাগান ইমরুল। আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নিয়ে সফল হয় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ডিফেন্স করতে যেয়ে এলবি হয়ে ফিরতে হয় সৌম্যকেও।
আলোচিত মুমিনুল দারুণভাবে শুরু করেন। লায়নের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৬৭ বলে ৩১ করেন। সৌম্যর সঙ্গের ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে পথে রাখার চেষ্টা করেন। অ্যাগারের বলে ওয়েডকে ক্যাচ দেয়ার আগে সাকিব করেন ২৪। পরের লড়াইটা সাব্বির-মুশফিকের।
পাঁচ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সাব্বির উইকেটে আসেন। রিস্ট রোল করে মাটিতে খেলেছেন। বাউন্ডারি পাওয়া শটগুলোতে ছিল বাড়তি মনোযোগের ছোঁয়া। মাঝে মাঝে কেতাবি ডিফেন্স। ৬২ বলে অর্ধ-শতকে পৌঁছানো এই সাব্বির যেন নিখাদ টেস্ট খেলুড়ে। দুর্ভাগা সাব্বিরকে (৬৬) ফিরতে হয় স্টাম্পিং হয়ে।
অল্পের জন্য রক্ষা পাননি। তাকে আউট ঘোষণা করতে থার্ড আম্পায়ারকে পর্যন্ত বেগ পেতে হয়েছে। পপিং ক্রিজে পা ছিল কি ছিল না, সেই দ্বিধা ওই রিপ্লে দেখেও অনেকের কাটেনি। সাব্বির ফেরার সময় মুশফিকের সঙ্গে জুটিতে ১০৫ রান যোগ করে যান। এই জুটিই মূলত বাংলাদেশকে স্বস্তিতে দিন শেষ করতে সাহায্য করেছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ