২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সকাল ৯:২২

ঈদুল আজহার ছুটিতে সরগরম নাটকপাড়া

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক:

ঈদুল আজহার ছুটিতে ঢাকার নাটকপাড়া ‘নাটবাঙলা নাট্যোৎসব’ সরগরম রেখেছে । আয়োজন করেছে মনন সমাজ সংস্কৃতির নাট্যবিভাগ নাটবাঙলা। এ উৎসবে ‘রিজওয়ান’ শিরোনামের নাটকের ১৯টি প্রদর্শনী হচ্ছে। ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল ৪টা ও রাত ৮টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে চলবে প্রদর্শনী। ‘রিজওয়ান’-এর পরিকল্পনা-নির্দেশনায় আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরমেন্স স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ। উর্দু কবি আগা শহীদ আলীর কাব্যগ্রন্থ ‘আ কান্ট্রি উইদাউট আ পোস্ট অফিস’ অবলম্বনে ভারতের অভিষেক মজুমদার লিখেছেন নাটক ‘রিজওয়ান’। এ নাটক নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত নাটকপ্রেমীরা। সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকেই প্রশংসাসূচক মন্তব্য করেছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তেমন কয়েকটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের অংশ বিশেষ পড়ে নিন নিচে— নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে লেখেন, ‘আগেই জানা ছিল জামিল আহমেদ চেনা কোনো জগৎ নির্মাণ করবেন না। প্রতিদিনের ডাল-ভাত উনি সার্ভ করবেন না।

এটা এক ডেভেস্টেটিং এক্সপেরিয়েন্স, রিভেটিং জার্নি। যে জার্নির শুরুর দশ-বিশ মিনিট পর্যন্ত আমি নিশ্চিত ছিলাম না আমি কি এটা পছন্দ করছি নাকি না। কিন্তু এক পর্যায়ে পছন্দ-অপছন্দের ভাবনা ছাড়ায়ে আমি নিজেরে আবিষ্কার করলাম কাশ্মিরের ঐ মানুষগুলার সাথে একই কাতারে যেখানে জীবন আর মৃত্যু গুলিয়ে গেছে কবিতার মতো।’ আরো লেখেন, “রিজওয়ান’-এ জামিল আহমেদ এক বিমূর্ত রাজনৈতিক কবিতা রচনা করেছেন যেখানে দেখানো হয় রাষ্ট্রশক্তি কীভাবে দূর্বল নাগরিককে ধ্বংস করে দেয়।”

এদিকে শিক্ষক ও নির্দেশক সামিনা লুৎফা লেখেন, ‘রিজওয়ান আলোচনার শীর্ষে— আমি মহা খুশি। গত কয়েক বছরে কোন নাটক নিয়ে আমি এত এক্সাইটেড হই নাই। নাটকের জয় হোক। মঞ্চে নাটক দেখুন— বাংলাদেশে বিশ্বমানবের নাটক দেখুন।’ অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি লেখেন, ‘এইবার বোঝা গেল, প্রফেশনাল থিয়েটার কাকে বলে? হ্যাঁ, অধ্যাপক জামিল আহমেদের থিয়েটারই প্রফেশনাল থিয়েটার আর সব ফাঁকাবুলি, মিথ্যা আড়ম্বর।’ মোহাম্মদ আলী হায়দার লেখেন, “রিজওয়ান’ আমাদের কাছে দেখা দিল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ থিয়েটারের পাশে বাংলাদেশের একমাত্র থিয়েটারের শক্ত অবস্থান। বাংলাদেশের থিয়েটার অনেক নিরীক্ষা করেছে কিন্তু এই নিরীক্ষার মুল জামিল আহমেদ, উনি আমাদের রাস্তা দেখান, আমরা সেই রাস্তায় হাটি, নষ্ট করি, উনি নতুন রাস্তা দেখান আবার ঘটে আমাদের অনুকরণ ও অন্ধ অনুসরণ, আমরা পথ খুঁজে পাই না, থিয়েটার ব্যর্থ হয়, আমরা হতাশ হই। কিছুই হচ্ছে না বলে মুখ ঘুরিয়ে নেই কিন্তু তিনি (জামিল ভাই) আমাদের আবার পথ বলে দেন। কারণ বাংলাদেশে থিয়েটার নিয়ে তার বোঝাপড়াই একমাত্র, আর সব ফিকে।”

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৭ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ