২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:২৬

মুখরিত হাতিরঝিল

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজধানীর ব্যস্ততম মানুষগুলোর প্রাণ খুলে ঘুরে বেড়ানোর জন্য বিনোদন কেন্দ্রের সংখ্যা খুবই কম। হাতেগোনা দু’একটি বিনোদন কেন্দ্রের মধ্যে হাতিরঝিল এখন অন্যতম।

শনিবার ঈদের দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেকটা জনশূন্য ছিল রাজধানীর অন্যতম এ বিনোদন কেন্দ্রটি। তবে বেলা গড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দর্শনার্থী সংখ্যা। কিন্তু সে তুলনাই মানুষ অনেক কম বলে দাবি করছেন হাতিরঝিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

2017August

পশু জবায়ের পর ঈদুল আজহার শেষ বিকেলে অনেকে বন্ধু-বান্ধব ও পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের অনন্দ উপভোগ করতে আসেন হাতিরঝিলে। রোদ-বৃষ্টির সঙ্গে শরতের শীতল হাওয়াই কেউ ওয়াটার ট্যাক্সি অথবা ওয়াটার বোটে চড়ে, আবার কেউ ঝিলের ধারে গাছের ছায়ায় বসে রৌদ্র-শীতল বাতাসে উপভোগ করেন। গল্প, আড্ডা আর ঝিলের ধারে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে অনেককে।

পরিবার-পরিজন নিয়ে যাত্রবাড়ী থেকে হাতিরঝিলে এসেছেন আব্দুর রহমান। পরিবারের ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চাদের সঙ্গে মজা করে উপভোগ করছিলেন দর্শনার্থীর আনাগোনা ও ঝিলের সৌন্দর্য। স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের সঙ্গে সেলফি তুলছিলেন। আব্দুর রহমানের দুই সন্তানের সঙ্গে রয়েছে তার ভাই ও বোনের আরও তিন সন্তান।

2017August

তিনি বলেন, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া আর নিজের ব্যস্ততার জন্য গ্রামের বাড়ি যেতে পারিনি। তাই ঢাকাতেই ঈদ করতে হলো। এখন ব্যস্ততার কারণে স্ত্রী আর ছেলে-মেয়েকে তেমন সময়ও দিতে পারি না। তাই ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এসেছি।

বন্ধুদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন সাদিয়া আক্তার। তারা তিনজনই একটি কলেজের শিক্ষার্থী। সাদিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের দিন কোথাও বের হইনি। ঢাকায় মানুষের তুলনাই বিনোদন কেন্দ্রের সংখ্যা খুবই কম। চিড়িয়াখানা, শিশুপার্ক আর হাতিরঝিল। এর মধ্যে বেস্ট হাতিরঝিল, তাই এসেছি।

2017August

অন্যদিকে হাতিরঝিলের শেষপ্রান্তে রামপুরা ব্রিজের কাছে ‘ফুট টিপস’দোকানের কেয়ারটেকার মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রতি শুক্রবার যেমন বিক্রি হয় আজ তাও হচ্ছে না। এমনকি ঈদুল ফিতরের তুলনায় তো কোনো লোকই নেই। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোরবানি ও বৃষ্টির কারণে লোক কম, সেলও নাই।

হাতিরঝিলের প্যাডেল বোটের লাইনম্যান গৌতম বিশ্বাস  বলেন, বোটে প্রতি শুক্রবার যা লোক আজ তার চেয়ে কম হয়েছে। আমাদের ২০টি বোটের মধ্যে কখনও ১২টি, কখনো ১৫টি আবার ১৭টির মধ্যে বসে থাকে। আজও একই অবস্থা। রোজার ঈদের তুলনায় কোরবানির ঈদে দর্শক অনেক কম। সোজা কথা ঈদের দর্শক নেই বললেই চলে।

বাসের কাউন্টার থেকেও একই কথা জানা গেছে। তারা বলছেন, রোজার ঈদে যে পরিমাণ লোক হাতিরঝিলে ছিল তার তুলনায় লোক নেই বললেই চলে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৭ ৭:৩৯ অপরাহ্ণ