২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ১২:২৯

স্বাধীনতার জন্য ইরাকে কুর্দিদের গণভোটের আয়োজন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

উত্তর ইরাকের কিরকুক অঞ্চলে স্বাধীনতার স্বপক্ষে আগামী  মাসে এক গণভোটের আয়োজন করছে কুর্দিরা, সেখানকার কাউন্সিলররা জানিয়েছেন। মঙ্গলবার এক ভোটগ্রহণের মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  ইরাকের কুর্দি নেতা মাসুদ বারজানি এবং আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো গত জুন মাসে ঐতিহাসিক এক গণভোটের ঘোষণা দেয়। এ ঘোষণার পর পশ্চিমা ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তি এ ভোটের বিরোধিতা করে কিন্তু ইরাকি কুর্দি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী এ গণভোটের দিকে এগিয়ে যাবে। কুর্দি, আরব ও তুর্কিমেন অধ্যুষিত তেল সমৃদ্ধ কিরকুক ইরাকের কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন শহর। স্বাধীন কুর্দিস্তানের জন্য এ গণভোটের কঠোর বিরোধিতা করেছে ইরাক সরকার।  কিরকুকের একজন কাউন্সিলর হালা নূর এডিন জানান, মঙ্গলবারের ভোটে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কাউন্সিলের উপস্থিত ২৪ জনের মধ্যে ২২ জনেই এই গণভোট আয়োজনের পক্ষে সম্মতি দেন। কিরকুক গভর্নর নাজম এডিন করিম এটিকে “ঐতিহাসিক ঘটনা” হিসাবে বর্ণনা করেন। ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদি এই ঘোষণার নিন্দা করেছেন। তার মুখপাত্র সাদ আল-হাদিথি বলেছেন, এ ভোট অবৈধ এবং অসাংবিধানিক। হাদিথি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ছাড়া প্রদেশগুলো কখনোই এ ধরণের সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কিরকুকও এর মধ্যে পড়ে।’  ইরাকের একজন নীতি নির্ধারক ও তুর্কমেন ফ্রন্টের প্রধান আরশাদ আল-সালি বলেন,’কিরকুক কাউন্সিলের এ সিদ্ধান্ত ইরাকে নতুন বিরোধের জন্ম দিবে।’ এ দিকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, কিরকুক কাউন্সিল এ সিদ্ধান্ত আরেকটু ভুল সিদ্ধান্ত এবং ইরাকি সংবিধানে এটি গুরুতর দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে।  ইরাকের সাথে তুরস্ক, ইরান ও সিরিয়াও স্বাধীন কুর্দিস্তানের বিরোধীতা করে। কুর্দিদের বিশাল জনগোষ্ঠী এ দেশসমূহে বিভক্ত হয়ে আছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষও এ গণভোটের নিন্দা করেছে। তাদের মতে, এর মাধ্যমে কুর্দি, আরব ও তুর্কিমেনদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর মোকাবেলায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। উল্লেখ্য, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাকি বাহিনীর মধ্যে অন্যান্যদের সাথে আইএস মোকাবেলায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে কুর্দিযোদ্ধারাও। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স দ্বারা এ অঞ্চলে দেশসমূহের সীমানা নির্ধারণের পর থেকে কুর্দিরা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভক্ত সীমানায় উল্লেখিত চার দেশে বসবাসকারী এ জনগোষ্ঠী নিজেদের ভূখণ্ড নিয়ে আলাদা দেশ গঠনে সে দিকেই ধাবিত হচ্ছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে কিরকুক কাউন্সিলের এ ঘোষণায়। সূত্র-দ্য নিউ আরব

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

প্রকাশ :আগস্ট ৩০, ২০১৭ ১:৫৪ অপরাহ্ণ