স্পোর্টস ডেস্ক:
অস্ট্রেলিয়াকে নাটকীয় এবং রোমাঞ্চকর ম্যাচে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। টেস্টে এই প্রথম অস্ট্রেলিয়াকে হারালো টাইগাররা। ২ টেস্টের সিরিজের প্রথমটি জিতে নিয়ে দারুণ মর্যাদার ১-০ এর লিড নিয়ে নিলো। বুধবার মুশফিকুর রহীমের দল অসাধারণ পারফরম্যান্সে তুলে নিয়েছে ২০ রানের জয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৫ রানের টার্গেটের পেছনে ছুটে ২৪৪ রানে অল আউট স্টিভেন স্মিথের দল! মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তাই উৎসব। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট শিকার করে মূল নায়ক সাকিব আল হাসান। স্পিনাররাই হন্তারক। তাইজুল ইসলাম পেয়েছেন ৩ উইকেট। মেহেদী হাসান মিরাজের শিকার ২ উইকেট। চতুর্থ দিনের সকালে সাকিব জাদুতে মুঠো থেকে প্রায় গলিয়ে যাওয়া ম্যাচ ধরে ফেলে বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার সামনে ছিল ২৬৫ রানের টার্গেট। কিন্তু ২ উইকেটে ১৫৮ থেকে ৭ উইকেটে ১৯৫ রানে ৭ উইকেটের দল হয়ে যায় তারা। এতে সাকিবের ৩ ও তাইজুল ইসলামের ২ উইকেটের অবদান। সাকিব হামলা করার পর অন্যপ্রান্ত থেকে উইকেট তুলে নিতে থাকেন তাইজুল। ডেভিড ওয়ার্নার সেঞ্চুরি করলেও স্বাগতিক স্পিনাররা অস্ট্রেলিয়াকে ঠিকই মাটিতে নামিয়ে এনেছে। গেল বছর ঢাকায় ইংল্যান্ডকে এক সেশনেই শেষ করে দিয়ে আরেকটি ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তার সাথে যোগ হলো অসম্ভব সম্মানের আরেকটি জয়।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ২৬০ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ২১৭ রানে অল আউট হয়। টাইগাররা লিড পায় ৪৩ রানের। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েও মুশফিকরা অল আউট হয়েছেন ২২১ রানে। তাতে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ২৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে শাসরুদ্ধকর এক জয়ে ক্রিকেট বিশ্ব আরো একবার কাঁপিয়ে ছাড়লো টাইগাররা। সেই সাথে ২০০৬ সালে ফতুল্লায় এই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে জিততে হারা ম্যাচের কষ্ট কিছুটা হলেও হয়তো কমলো এতে।
চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্ট শুরু ৪ সেপ্টেম্বর। অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করার ঘোষণা আগে থেকে দিয়ে রেখেছে টাইগার দল! মনস্তাত্বিক দিয়ে তো মুশফিকরা অনেক এগিয়ে থেকেই যাচ্ছেন চট্টগ্রামে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ