আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস মিয়ানমার সেনাবাহিনী দ্বারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। রাখাইন প্রদেশে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধে মিয়ানমার সরকারের প্রতি আহ্বান। একইসঙ্গে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিবেশি বাংলাদেশকেও সীমান্তপথ খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচারের কবল থেকে বাঁচতে বহু মানুষ এলাকা ছাড়ছে। এদের মধ্যে নারী ও শিশুসহ অনেক আহত ব্যক্তিও রয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ মহাসচিব এমন অবস্থায় মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে সহায়তায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। ঘরহারা অত্যাচারিত মানুষগুলো যেন নিরাপত্তা এবং প্রতিবেশি দেশগুলোতে বিনা বাধায় প্রবেশ করতে পারে সেজন্য তিনি মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান। একই সঙ্গে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে সব ধরনের সহায়তা দিতে জাতিসংঘ প্রস্তুত বলেও মহাসচিবের বরাত দিয়ে ডুজারিক বিবৃতিতে জানান। রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীকে নির্মূলে গত ক’দিন ধরে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। দেশটির পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে জানা গেছে, মিয়ানমার গত ৩দিনে জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নামে এই জাতিগোষ্ঠী নির্মূলে হত্যা, ধর্ষণের মতো কাণ্ড ঘটাচ্ছে।
কিন্তু স্থল সীমান্তপথ এবং নাফ নদী সাঁতরে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে না বিজিবি। এমন অবস্থায় বাংলাদেশের ঘুমধুম অঞ্চলের নিকটবর্তী ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’এ আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুরা। কিন্তু অসহায় রোহিঙ্গাদের সেখানেও মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর আনাগোনা আতংকিত করে তুলেছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি