২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | দুপুর ২:৫৮

মতিয়া ও শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিচার দাবি জামায়াতের

নিজস্ব প্রতিবেদক:

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে নিয়ে কটাক্ষপূর্ণ ও অবমাননাকর বক্তব্য দেয়ায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিচার দাবি করেছে জামায়াতে ইসলামী।
সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে ডা. শফিক বলেন, বাংলাদেশ সরকারের একজন মন্ত্রী ও সাবেক বিচারপতি এ.এইচ.এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে লক্ষ্য করে যে সব অসহিষ্ণু, কটাক্ষপূর্ণ, অশালীন ও অশ্লীল বক্তব্য দিয়েছেন তা শুধু অবমাননাকরই নয়; তারা এ বক্তব্য দিয়ে কার্যতঃ আদালত অবমাননা করেছেন। তাদের এ ধরনের অসহিষ্ণু ও বেআইনি বক্তব্য সম্পূর্ণ অন্যায়, অনৈতিক, অনভিপ্রেত এবং অনাকাক্সিক্ষত। তাদের এসব বক্তব্যের মাধ্যমে অসহিষ্ণু মনোভাবই চরমভাবে প্রকাশিত হয়েছে। দেশের একজন মন্ত্রী ও একজন সাবেক বিচারপতির নিকট থেকে দেশবাসী এমন উস্কানিমূলক, কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও আদালত অবমাননাকর বেআইনি বক্তব্য আশা করে না। প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে তারা কুরুচিপূর্ণ ও বেআইনি বক্তব্য দিয়ে দেশের আইন এবং সংবিধান লংঘন করেছেন। আদালত অবমাননার দায়ে তাদের দু’জনেরই বিচার হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, যে মন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন তিনিই এক সময় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের গায়ের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন। এখন তিনি তার সেই বক্তব্যের কাফ্ফারা আদায় করার উদ্দেশ্যেই কী প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও বেআইনি বক্তব্য দিচ্ছেন?
জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, সাবেক বিচারপতি এ.এইচ.এম শামসুদ্দিন চৌধুরী সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে এ অশ্লীল, রুচিহীন ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে পারেন না। তার এ বক্তব্যের দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে, সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি হওয়ার মত কোন যোগ্যতাই তার ছিল না। বিশেষ একটি দলের প্রতি আনুগত্যের কারণেই তাকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছে। বর্তমান সরকার দেশের জনগণের সভা-সমাবেশ করার এবং মতামত প্রকাশের গণতান্ত্রিক মৌলিক অধিকার হরণ করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। সরকার নির্বাচন কমিশনকে তাদের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে এবং ব্যালট ডাকাতির নির্বাচনের নাটক করে অনির্বাচিত লোকদের দিয়ে রাবার স্ট্যাম্প সংসদ গঠন করে সংসদীয় গণতন্ত্রিক ব্যবস্থাকে অকার্যকর করে দিয়েছে।

সরকারের একজন মন্ত্রী ও একজন সাবেক বিচারপতি এ.এইচ.এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকসহ যারাই সুপ্রীম কোর্টের রায় ও প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন তাদের সবাইকে দেশের আইন অনুযায়ী বিচারের কাঠ গড়ায় দাঁড় করাবার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। তা না হলে আইন-আদালতের প্রতি জনগণের আস্থা ও শ্রদ্ধা থাকবে না এবং আইন হাতে তুলে নেয়ার বেআইনী প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।”

দৈনিক দেশজনতা/এন আর

 

প্রকাশ :আগস্ট ২৮, ২০১৭ ৫:১১ অপরাহ্ণ