স্বাস্থ্য ডেস্ক:
চাপ অর্থ মানসিক ও শারীরিক চাপ। এ দুটি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একটি বাড়লে আরেকটি বাড়ে, আরেকটি কমলে অন্যটি কমে। এ কথা সবার জানা যে, সবসময় সুস্থ ও চাপমুক্ত থাকতে ব্যায়াম পর্যাপ্ত সহায়তা করে। কিন্তু খাবারও যে মানসিক চাপ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এ কথা অনেকেরই অজানা।
কালো চকলেট : ডার্ক চকলেট বা কালো চকলেট উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ ও কোলেস্টেরলের আধিক্য কমাতে সহায়ক। মানসিক চাপেও কালো চকলেট স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে এবং স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করে। সৌভাগ্যবশত, কালো চকলেটটি হচ্ছে কিছুটা কুলুষমুক্ত জলখাবারের মতো।
কাজুবাদাম : কাজুবাদাম খুবই সুস্বাদু। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন বি এবং ই রয়েছে। এই ভিটামিন মানসিক চাপের সময় রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে (ইমিউন সিস্টেম) অনেক বেশি কার্যকর করতে সাহায্য করে। মাত্র পাঁচ থেকে সাতটি কাজুবাদাম মানুষকে অনেক সুকৌশলী করে তোলে।
মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলু ব্যাপক পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার। এটা মানসিক চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। মিষ্টি আলুর একটি উষ্ণ থালা দীর্ঘদিন পর একজন ব্যক্তিকে সন্তোষের এবং শান্তির অনুভূতি দিতে পারে।
উপকারী চর্বি : অ্যাভোকাডো ফল উপকারী চর্বির একটি চমৎকার উৎস। একজন ব্যক্তির দিনে কমপক্ষে অর্ধেক অ্যাভোকাডো ফল খাওয়া প্রয়োজন। জলপাই তেল, মাছের তেল ইত্যাদির ভেতরেও উপকারী চর্বি রয়েছে। কাজ করার সময় উপকারী চর্বিসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।
চিনি : উপকারী চর্বির মতোই একজন ব্যক্তির শরীরে ভালো চিনি প্রয়োজন। প্রাকৃতিক উৎস যেমন তাজা বা শুকনো ফল এবং কাঁচা মধু থেকেই চিনি পাওয়া যেতে পারে। মধু ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। মধু রাতে একটি ভাল ঘুমও নিশ্চিত করে। প্রত্যেকের প্রতিদিন এক চামচ করে মধু খাওয়া প্রয়োজন।
সবুজ শাকসবজি : শতমূলী, পাতাকপির মতো সবুজ শাকসবজিতে অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। এই খনিজ পদার্থ মানসিক উন্নতি সাধন করে। প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতিদিন অন্তত এক কাপ সমপরিমাণ সবজি খাওয়া উচিত।
এই খাবার নিয়মিত গ্রহণ করলে প্রতিটি মানুষ ফুরফুরে মেজাজে উচ্ছল জীবন যাপনের পথে এগিয়ে যেতে থাকবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি