২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৬:৫৮

দুপুরে ঢালাই দেয়া ব্রিজ ধসে পড়েছে বিকেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুষ্টিয়ার মিরপুরে দুপুরে ঢালাই দেয়া ব্রিজ বিকেলেই ধসে পড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক সপ্তাহ আগে ব্রিজটি ধসে পড়লেও ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অভিযোগ উঠেছে, নিম্নমানের কাজের কারণে ব্রিজ ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের কালিতলা এলাকার পারুলি খালের ওপর ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজটি নির্মাণ করা হচ্ছিল। সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।

মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান জানান, ব্রিজ ভেঙ্গে পড়ার পর ঘটনাস্থল পরির্দশন করা হয়েছে। তদন্তে কোনো গাফিলতি ও অনিয়ম চিহিৃত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জানা গেছে, চলতি বছর দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তর থেকে মিরপুরের কালিতলা এলাকার পারুলি খালে ব্রিজ নির্মাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়। এ ব্রিজটির নির্মাণব্যয় ধরা হয় প্রায় ৩২ লাখ টাকা।

কয়েক মাস আগে কুষ্টিয়ার ঠিকাদার রঞ্জু ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে ব্রিজের ঢালাই দেয়া হয়। পরে বিকেলেই তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙ্গে পড়ে খালের পানিতে। এলাকাবাসীর অভিযোগ নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার ও নির্মাণ ত্রুটির কারণেই ব্রিজটি ঢালাই দেয়ার মাত্র কিছু সময়ের মধ্যে খালের মধ্যে ভেঙ্গে পড়ে। এতে এলাকার লোকজন হতবাক হয়ে যান। ছাতিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন জানান, কুষ্টিয়া শহরের রঞ্জু নামে এক ঠিকাদার ব্রিজের কাজটি করছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে ব্রিজ সাটারিং শেষে ঢালাই দেয়ার পর বিকেলে তা ধসে পড়ে। কি কারণে এমনটি হয়েছে তা সংশ্লিষ্ট প্রকৌশল কর্মকর্তা ও ঠিকাদাররা ভাল বলতে পারবেন।

চেয়ারম্যান আরো জানান, ব্রিজটি এলাকার মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ কাজ ভাল ও মানসম্মত না হলে পরবর্তীতে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার নতুন করে আবার কাজ শুরু করবে বলেও জানান চেয়ারম্যান। মিরপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল কাইয়ুম খান জানান, ‘ঢালাই কাজ চলার সময় সাটারিং ভেঙে কিছু অংশ ধসে পড়েছে। নতুন করে ঠিকাদার নিজ খরচে বাকি কাজ করে দিবেন। কাজ চলছে। ঢালাই দেয়া হবে। তবে এখানে অনিয়ম ও গাফিলতি ছিল না বলে দাবি করেন তিনি।

ঠিকাদার রঞ্জু জানান, কাজে কোনো গাফিলতি ছিল না। খালে বেশি পানি থাকায় বাঁশ দিয়ে যে সাটারিং দেয়া হয়েছিল তার ভার সহ্য করতে না পেরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। নতুন করে আবার কাজ শুরু করা হয়েছে।

দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ

প্রকাশ :আগস্ট ২৪, ২০১৭ ১২:৪৫ অপরাহ্ণ