নিজস্ব প্রতিবেদক:
ছেলে পৌঁছলেন দেশের মাটিতে, যখন সারাদেশ টিপ টিপ বৃষ্টি আর নায়করাজের স্বজন-সহকর্মী-ভক্তদের অশ্রুতে একাকার। এরপরই শেষ শয্যায় শায়িত হলেন নায়করাজ রাজ্জাক। বুধবার সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর বনানী বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে এ তারকার দাফন সম্পন্ন হয়। এ সময় নায়করাজের তিন ছেলে বাপ্পারাজ, বাপ্পি ও সম্রাট এবং নায়ক উজ্জ্বল, শাকিব খান, ফেরদৌস, অমিত হাসানসহ আত্মীয়-স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার ভোরে নায়করাজের কানাডা প্রবাসী মেঝো ছেলে বাপ্পি ঢাকায় পা রাখেন। বাপ্পি এক নজর বাবা দেখতে চেয়েছিলেন। এর কারণে একাধিকবার এ নায়কের দাফনের সময় পরিবর্তন করা হয়। কিংবদন্তি এ নায়ক শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সোমবার বিকেলে। সেদিন রাত থেকে বৃষ্টির ধারা বইছে দেশ জুড়ে। সেই শোকাবহ আবহে মঙ্গলবার সকালে নায়করাজের মরদেহ নেওয়া হয় এফডিসিতে। সেখানে প্রথম জানাজা শেষে দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন হাজারো ভক্ত-অনুরাগী। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে প্রিয় নায়ককে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তারা।
মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে দ্বিতীয় জানাজা শেষে নায়করাজের দাফন হওয়ার কথা থাকলেও ছেলে বাপ্পির জন্য একদিন পেছানো হয়। বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজার পর মরদেহ রাখা হয় হাসপাতালের হিমাগারে। বাপ্পি ঢাকায় পৌঁছলে ভোরে মরদেহ হিমাগার থেকে নেওয়া হয় নায়করাজের বাড়িতে। সেখানে স্বজনরা তাকে অশ্রুসজল নয়নে বিদায় জানান। শেষবারের মতো বাবাকে দেখেন বাপ্পি।
এদিকে রাজ্জাকের মৃত্যুতে তিন দিনের শোক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।গভীর শোক প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। কিংবদন্তি এই অভিনেতা ১৯৪২ সালের ২৩ জানুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের (বর্তমান ভারতের) কলকাতার টালিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাড়ি জমান তিনি, বাকিটা ইতিহাস।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ