লাইফ স্টাইল ডেস্ক:
ওজন নিয়ে কম বেশি চিন্তা আমাদের সবারই হয়। আর ওজন বেড়ে গেলে আমরা অনেকেই আপ্রাণ চেষ্টা করি তা কমাতে। এ জন্য আমরা অনুসরণ করি নানা ধরনের পন্থা। কিন্তু সেগুলো কি সত্যিই কার্যকর? ওজন কমানো সম্পর্কে যেসব ধারণা প্রচলিত আছে সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই আসলে ভুল। এই ধারণাগুলো অনুসারে ওজন কমানোর চেষ্টা করলে ফল পাওয়ার কোনো সম্ভাবনাতো নেই-ই, বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে উল্টে আপনার শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
এক বেলা খাওয়া বাদ দেওয়া :
দ্রুত ওজন কমাতে অনেকেই এক বেলা খাওয়া বাদ দেন। সাধারণত এই ক্ষেত্রে সকাল বেলার খাওয়াই বাদ দেওয়া হয়। তবে এতে করে আদৌ ওজন কমে না। কারণ খাওয়া বাদ দিলে শরীর ভবিষ্যতের জন্য ক্যালরি/চর্বি সঞ্চয় করে রেখে দেয়। তাই না খেয়ে থাকা ওজন কমানোর কোনো কার্যকর উপায় হতে পারে না।
ওজন না মাপা :
অনেকেই পরামর্শ দেন, ওজন কমানোর সময়ে নিয়মিত তা না মাপা ভালো। এই ধারণাটি পুরোপুরি ঠিক নয়। বারবার ওজন মাপার কোনো যৌক্তিকতা না থাকলেও দিনে একবার ওজন মাপা খারাপ কিছু নয়। এতে করে আপনার ওজন আদৌ কমছে কিনা তা বুঝতে পারবেন। তাছাড়া এটি ওজন কমানোর এক ধরনের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করতে পারে।
ওজন কমানো শুধু ইচ্ছাশক্তির ব্যাপার :
আপনি ইচ্ছা করলেই কিছুটা ওজন অবশ্যই কমানো পারবেন। কিন্তু ওজন শুধু আপনার ইচ্ছার উপরই নির্ভর করে না। গবেষণায় দেখা গেছে, বেশ কিছু জিনগত কারণে শরীরের ওজন বেশি হতে পারে।
সব চর্বিই ক্ষতিকর :
এটি আরেকটি ভুল ধারণা। সব ধরনের চর্বি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়। চামড়াসহ মুরগীর মাংস, দুগ্ধজাত খাদ্য, চিপস্, কেক ইত্যাদি খাদ্যে থাকা চর্বি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু জলপাই, অ্যাভোক্যাডো, সূর্যমুখী ইত্যাদির তেল শরীরের জন্য উপকারী। এগু্লো কলেস্টোরল কমায় এবং হৃদরোগের সম্ভাবনা হ্রাস করে।
রাত ৮টার পর না খাওয়া :
এই ধারণাটিরও কোনো যৌক্তিকতা নেই। আপনি রাত ৮টার পর খাচ্ছেন কিনা, তা আদৌ গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি ৮টার পর কখন ঘুমাতে যাচ্ছেন। রাতে খাওয়ার কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা পর ঘুমাতে না গেলে আপনার শরীরে জমা ক্যালোরি ঠিকমতো ক্ষয় হবে না।
তথ্য ও ছবি : ইন্টারনেট
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ