যশোরে ৭ পুলিশ ও আনসার সদস্যের নামে মামলা

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, পরিবহন ব্যবসায়ী বিটু আহমেদ যশোর সদর উপজেলার গাইদগাছি গ্রামে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। একই বাসার অপর ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন এসআই ফজর আলী। তিনি প্রতিদিন গভীর রাতে বাসায় ফিরলে বিকট শব্দে মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে ও ডাকাডাকি করে স্ত্রীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলতেন। এতে প্রতিবেশীদের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটত।

বিষয়টি বিটু আহমেদ বাড়ির মালিককে জানান। বাড়ির মালিক অভিযোগটি এসআই ফজর আলীকে বলেন। এতে ফজর আলী বিটু আহমেদের ওপর ক্ষিপ্ত হন।

গত ৯ জুন সন্ধ্যায় এসআই ফজর আলী প্রতিবেশী বিটু আহমেদের স্ত্রীকে ডেকে গালিগালাজ করেন। খবর পেয়ে বিটু আহম্মেদকে মোবাইল ফোনে সংবাদ দিলে তিনি ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার শরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে বাসায় আসেন। এ সময় শরিফুল ইসলাম এসআই ফজর আলীর কথার প্রতিবাদ করলে বসুন্দিয়া ক্যাম্পে ফোন করে তিনি অপর আসামিদের ডেকে নিয়ে আসেন। আসমিরা একত্রে বিটু আহমেদ ও রফিকুল ইসলামকে বেধম মারধর করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। ক্যাম্পে নিয়ে তাদের আরেক দফা মারধর করার ফলে রফিকুল ইসলামের পা ভেঙে যায়। এসআই ফজর আলী তাদের ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। এরমধ্যে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে ভর্তি করে।

গুরুতর আহত রফিকুল ইসলাম বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে দু’জন কিছুটা সুস্থ হওয়ায় সোমবার বিটু আহমেদ আদালতে এ মামলা করেন।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ