নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় ডেথ রেফারেঞ্জ ও আসামিদের আপিলের ওপর মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করবেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ভবানী প্রসাদসিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের যুগ্ম বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে গত ২৬ জুলাই আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ও আসামিপক্ষে মামলার যুক্তি উপস্থাপন শেষে আদালত ১৩ আগস্ট রায়ের দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
এরপর গত ১৩ আগস্ট রায় ঘোষণা না করে পুনরায় ২২ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত। এ মামলার শুনানিতে সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ আদালতে বলেছিলেন, ‘এই মামলার ২১ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আসামিরা জড়িত ছিলেন।’
গত ২২ মে থেকে নারায়ণগঞ্জের সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়। এর আগে ১৭ মে বুধবার এ মামলাটি শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এর আগে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর সাত খুনের দুই মামলার রায়ে নূর হোসেন ও র্যা ব থেকে বরখাস্ত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত।
এ মামলার ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা থেকে মামলার সব নথি বিজি প্রেসে পাঠানো হয়। এরপরই বিজি প্রেস পেপারবুক প্রস্তুত করে গত ৭ মে হাইকোর্টে পাঠায়। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার, নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
ঘটনার তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ। পরদিন মেলে আরেকটি লাশ।
ঘটনার এক দিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা (পরে বহিষ্কৃত) নূর হোসেনসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় একই থানায় আরেকটি মামলা করেন নিহত চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল।
পরে দুটি মামলা একসঙ্গে তদন্ত করে পুলিশ। ১১ মাস তদন্তের পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল র্যা বের সাবেক ২৫ কর্মকর্তা ও সদস্যসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ