নিজস্ব প্রতিবেদক:
সম্প্রতি পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির ব্যাখ্যা চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)’র চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানকে আইনি নোটিশ দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন ’কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিসিএস এর পক্ষে রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিষ্টার শিহাব উদ্দিন খান এ নোটিশ পাটিয়েছেন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যানকে নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে জনসমক্ষে পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ অফিসিয়ালভাবে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে না পারলে এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, চলতি বছরের আগষ্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ভোক্তা সাধারণের নিত্যপয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের মূল্য অগ্রহণযোগ্যভবে অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভোক্তা সাধারণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছে এবং নিম্ম ও ন্মিবধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি ভোগ করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশনের (টিসিবি) মূল্য তালিকা থেকে দেখা যায়, জুলাই মাসের ১৩ তারিখে দেশি পেঁয়াজের বিক্রয় মূল্য ছিল প্রতি কেজি ২৮ থেকে ৩২ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য ২২ থেকে ২৫ টাকা।
আগস্ট মাসের ৮ তারিখে দেশি পেঁয়াজের মূল্য ছিল প্রতি কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। এবং গত ১৩ আগস্ট প্রকাশিত মূল্য তালিকায় দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজের মূল্য প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, আমদানিকৃত পেঁয়াজের মূল্য ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ১০৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ, বিদেশি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ১২৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এক মাসের পেঁয়াজের গড় মূল্য বেড়েছে ১১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
নোটিশে কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের তথ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিগত অর্থবছর দেশে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। দেশে উৎপাদন ও আমদানি মিলিয়ে পণ্যটির সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি।
যেহেতু পেঁয়াজের উৎপাদন এবং আমদানি পর্যাপ্ত রয়েছে। সেকারণে সিসিএস মনে করে পেয়াজের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এমতাবস্থায় আসন্ন কুরবানি ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি সিন্ডিকেটের কারসাজি বলেই কাছে প্রতীয়মান হয়।
উল্লেখ্য, কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি (সিসিএস) সরকার নিবন্ধিত একটি বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা। সংস্থাটি ২০১৪ সাল থেকে দেশে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ এবং ভোক্তা অধিকার বাস্তাবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে সিসিএস নিয়মিত ক্যাম্পেইন, গবেষণা, জরিপ, পণ্য বা সেবার মূল্য ও মান যাচাই, আইনগত সহায়তা, প্রযুক্তিগত সহায়তা, ভোক্তা অধিকার বিষয়ে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর