নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিরল রোগে আক্রান্ত মুক্তামনিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ২টায় তাকে কেবিনে পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, মুক্তামনির শারীরিক অবস্থা ভাল আছে। তাই আইসিইউ থেকে কেবিনে পাঠানো হয়েছে। তবে চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক তাকে মনিটরিংয়ে রাখবে।
এর আগে বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অপারেশন থিয়েটারে মুক্তামনির ড্রেসিং সম্পন্ন হয়। ড্রেসিং শেষে ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, শনিবার মূল অস্ত্রোপচারের পর বুধবার তার ড্রেসিং করা হয়। তার হাতের অবস্থা ভালোই আছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা দেখা যায়নি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মুক্তামনি (১২)। জন্মের দেড় বছর পর মুক্তামনির হাতে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে।
দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তার আক্রান্ত ডান হাত এখন ছোট আকারের গাছের গুড়ির রূপ নিয়ে প্রচণ্ড ভারী হয়ে ওঠে। এতে পচনও ধরে। পোকাও জন্মে। দিন রাত চুলকানি ও যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে থাকতো মুক্তামনি। আক্রান্ত স্থান থেকে বিকট দুর্গন্ধ ছড়াতো।
সম্প্রতি মুক্তামনির এ বিরল রোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অপারেশন থিয়েটারে শনিবার (৫ আগস্ট) তার বায়োপসি সম্পন্ন হয়। বায়োপসি রিপোর্টে তার রক্তনালীতে টিউমার ধরা পড়ে। যা অপসারণে মূল অপারেশন হয় ১২ আগস্ট। তার আরো ৫-৬টি অস্ত্রোপচার করা লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ