দেশ জনতা ডেস্ক:
ছেলেরা নাকি আবেগ প্রকাশ করতে পারে না। কখনো খুব কাছের মানুষের কষ্ট দেখে চোখ ভিজে এলেও তাদের হয়তো বলতে হয়, ‘চোখে ময়লা পড়েছে!’ কিন্তু যখন ‘মা’ কষ্টে থাকেন, তখন সেই আবেগ আর অস্থিরতা কিছু দিয়েই লুকানো যায় না। আগামী রোববার আন্তর্জাতিক মা দিবস। দিনটি উপলক্ষেই আজ থাকছে দুই তারকা ছেলের কথা, যাঁরা বললেন মাকে নিয়ে তাঁদের মনের ভেতর চেপে রাখা সেই অস্থিরতার গল্পগুলো।
অভিনেতা আফরান নিশো কয়েক দিন আগে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেই স্ট্যাটাসে ‘মায়ের জন্য রক্ত’ খুঁজেছিলেন তিনি। সে সময় তাঁর লেখায়-কথায় ফুটে উঠেছিল এক ধরনের অস্থিরতা। পরে যখন নিশোর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তখন জানা যায়, তাঁর শাশুড়ি বেশ অসুস্থ ছিলেন। গভীর রাতে রক্তের প্রয়োজন পড়ে। তখনই সংকটময় পরিস্থিতে নিশো স্ট্যাটাস দিয়ে বন্ধু ও স্বজনদের কাছে সাহায্য চান। ফেসবুকের বন্ধুরা সে সময় পাশে দাঁড়ান নিশোর।
সে সময় নিশোর যে উপলব্ধি হয়, তা তাঁকে সন্তান হিসেবে করে তোলে পরিণত। সেই অশান্ত সময়ের কথা জানতে চাইলে নিশো বলেন, ‘আমি আমার শাশুড়ির অসুস্থতার সেই সময়টায় উপলব্ধি করি যে, আমাদের জীবনে তাঁদের (মা-বাবা) থাকাটা কত জরুরি। মাঝে আমার বাবার শরীরটাও খারাপ ছিল। এ সময়গুলোর বর্ণনা দেওয়া খুব কঠিন।’
নিশো তাঁর মাকে নিয়ে বলেন, খুব স্বাধীনভাবে তাঁদের বড় করেছেন মা। যা থেকে বিগড়ে যাওয়ার ভয় ছিল, তা থেকে দূরে রেখেছেন। শাসনের সময় শাসন করেছেন। আবার যখন স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার প্রয়োজন মনে করেছেন, তখন সেটাই করেছেন মা। বাবারা যেমন হন, জীবিকা আর সাংসারিক দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত, তেমনই ছিলেন নিশোর বাবা। আর মা তাঁর সবটুকু দিয়েই বড় করেছেন তাঁদের দুই ভাই ও এক বোনকে। নিশো বলেন, পরিবারের মেজ সন্তান তিনি। একটু জেদি স্বভাবের। যখন অভিনয় করবেন বলেই মনস্থির করেছেন, তখন তেমন সায় মেলেনি পরিবার থেকে। তবে মন থেকে না চাইলেও মা কখনো নিশোকে নিজের পথে চলতে বাধা দেননি। নিশোর ভাষায়, একটি গাছ যেমন বাধাহীনভাবে বেড়ে উঠতে পারলে এর ডালাপালা বিস্তৃত হয়, মায়ের পরিচর্যার কারণে নিশোর ইচ্ছা আর মেধাও তেমনি বাধাহীনভাবেই বেড়ে উঠতে পেরেছে। তাই তো আজ এত সাফল্য তাঁর জীবনে।
এন/এইচ=দেশ জনতা
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

