নিজস্ব প্রতিবেদক:
বুধবার সকালে চট্টগ্রামের জামাল খান সড়কের দক্ষিন প্রান্তে চেরাগী পাহাড় চত্বরে ছোট খাট জটলার ভেতর ঢোল-বাদ্যের বাজনা। জটলা ঠেলে ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেলো ৪/৫টি পাঁঠা ধরে আছে কয়েকজন যুবক। প্রতিটি পাঁঠাই ধরে থাকা যুবকদের প্রায় বুক সমান উঁচূ। আকারের বিশালতার কারণে পাঁঠাগুলোকে কেন্দ্র করে উৎসুক জনতার ভিড়। মালিকরা জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ঢোল বাজনার আয়োজন করেছেন। বৃহস্পতিবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মনসা পূজার দিন বলি দেওয়ার জন্য এইসব পাঁঠা কেনা হয়েছে। পাঁঠাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি সাদা রংয়ের। এটির মালিক নগরীর সদরঘাট এলাকার রঞ্জন ধর। পাঁঠাটি নিয়ে নগরীতে ঘুরতে বের হয়েছেন তারই এক আত্মীয় আমিত। অমিত জানালেন, চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে বলি দেওয়ার উদ্দেশ্যে দুই লাখ টাকায় এই পাঁঠা কেনা হয়েছে। এরমধ্যে কালো রংয়ের একটি পাঁঠা ধরেছিলেন নগরীর জামাল খান এলাকার বাসিন্দা প্রসেনজিত গুপ্ত। তিনি জানান, কালুরঘাট এলাকার একটি বাজার থেকে এক লাখ দশ হাজার টাকায় পাঁঠাটি কেনা হয়েছে। ‘এসব পাঁঠা কেনা হয়েছে বলির জন্য। বলির পাঁঠা নিয়ে মজা করতে ঢোল বাদ্য নিয়ে আমরা বের হয়েছি,’ বলেন তিনি। পাঁঠার মূল্য এত বেশি হওয়ার কারণ কী? এই প্রশ্নের জবাবে প্রসেনজিত বলেন, ‘এগুলো মানত করা হয়েছে বলি দেওয়ার জন্য, সেই জন্য মাংসের পরিমাণ কিংবা আকার আকৃত মূখ্য নয়।’ এত বিশাল সাইজের পাঁঠা অবশ্য সচরাচার দেখা যায় না। এগুলো কি বাংলাদেশে উৎপাদন হয়েছে নাকি অন্য কোথাও থেকে আমাদানি করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি মালিকরা। তবে, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহেদা আক্তার জানান, সম্ভবত এসব পাঁঠা ‘যমুনা পাড়ি’ জাতের। দেশে এখন অনেক খামারে এসব ছাগল উৎপাদন হয়। হাটহাজারীর সরকারি খামারেও এই জাতের পাঁঠা লালন পালন হয়। তিনি আরো জানান, এই জাতের একটি পাঁঠার সর্বোচ্চ মাংস ৪০ কেজি পর্যন্ত মাংস হতে পারে। ধর্মীয় উৎসবের সময় এগুলো চড়া মূল্যে বিক্রি হয়। তখন এর শরীরে মাংসের পরিমাণ দিয়ে মূল্য নির্ধারণ হয়না।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি