আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন যুক্তরাষ্ট্রের গুয়াম দ্বীপে হামলার বিষয়ে সেনাবাহিনীর প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফোন করে গুয়ামের গভর্নর এডি কালভোর পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণার পরই কিম এ হামলার অনুমোদন দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইয়াংকিরা (তুচ্ছার্থে মার্কিন নাগরিক) কোরিয়ান পেনিনসুলা ও এর আশপাশে বেপরোয়া কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা যদি আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা করতে চায়, তাহলে যে ঘোষণা দেওয়া আছে সেনাবাহিনী তা কার্যকর করবে।’ কিম সেনাবাহিনীকে যেকোনো সময় হামলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতেও নির্দেশ দেন। কোরিয়ার হুমকির বিষয়ে গুয়াম গভর্নরকে আশ্বস্ত করে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা ১০০০ শতাংশ তোমাদের পাশে আছি।’
বিগত দুই সপ্তাহের মধ্যে সোমবারই কিম জং উনকে প্রথম জনসমক্ষে দেখা যায়। তিনি উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি পর্যবেক্ষণ করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়, এদিন কিম জং উন গুয়াম দ্বীপে নিক্ষেপ করার মতো চারটি ক্ষেপণাস্ত্র পর্যবেক্ষণ করেন। গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়া গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘোষণা দিলে নতুন করে উত্তেজনা চরমে ওঠে। এর জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, তারা এমন অবস্থায় রয়েছেন যেটিকে ‘বন্দুকে ভরা গুলি’ বলা চলে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এমন হামলা চালাবে, যেটি বিশ্ব এর আগে কখনও দেখেনি।’
ট্রাম্প এবং কিমের এ রকম বাগযুদ্ধে অবশ্য ভিন্ন অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন মঙ্গলবার বলেছেন, সিউলের সম্মতি ব্যতিরেকে কোনো সামরিক হামলা চলতে পারে না। তার সরকার যুদ্ধ ঠেকানোর সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার লাগাতার হুমকি নিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলেছেন। মঙ্গলবার টেলিফোন আলাপে দুই নেতা যেকোনো উপায়ে উত্তর কোরিয়াকে থামানোর বিসয়ে ঐক্যমত পোষণ করেন।পরে সাংবাদিকদের শিনজু অ্যাবে বলেন, ‘জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দৃঢ় অংশীদারিত্ব, চীন-রাশিয়ার সহযোগিতা ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে একমত হয়ে আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি থামানো।’
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি