নিজস্ব প্রতিবেদক:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক হারে পানি বাড়ায় ডুবে গেছে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী লোকালয়ে পানি ঢুকে শত শত ঘরবাড়ি। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) আশঙ্কা করছেন যমুনার পানি যে হারে বাড়ছে তাতে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে একশ বছরের রেকর্ড ভঙ্গের। এদিকে অস্বাভাবিক হারে পানি বাড়ায় জেলার সদর, চৌহালী, কাজীপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি, কাওয়াকোলাসহ বিভিন্ন এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষগুলো গবাদি পশু ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়েছে। নৌযানের অভাবে তারা নিরাপদ আশ্রয়েও যেতে পারছে না।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রনজিত কুমার সরকার মঙ্গলবার দুপুরে বলেন, ‘যমুনার পানি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এভাবে বাড়তে থাকলে ২-৩ দিনের মধ্যে একশ বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে যাবে।’ তিনি জানান, সদর উপজেলার খোকশাবড়ী, কাজীপুরের রতনকান্দি ইউনিয়নের ৭-৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধগুলোর উপর দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যমুনার প্রবল শ্রোতের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ক্রমশ ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, আগের তুলনায় এবার তীব্রগতিতে পানি বাড়ছে। পানি আরো ২-৩ দিন বাড়তে থাকলে শত বছরের রেকর্ড ভাঙ্গার আশঙ্কা রয়েছে। তবে পাউবো সব নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধগুলোর উপর নজরদারিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। এদিকে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবেলায় সব সময়ের জন্য প্রস্তুত সিরাজগঞ্জ ত্রাণ অফিস। বন্যা মোকাবেলায় জেলায় ১৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য ১৭০ মেট্টিক টন চাল ও সাড়ে ৮ লাখ টাকা মজুদ রাখা হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি